বাসস
  ৩০ জুলাই ২০২৩, ২২:৪৫

আন্দোলনের নামে কোন ধরণের সন্ত্রাস ও জনদুর্ভোগ মেনে নেওয়া হবে না : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আন্দোলনের নামে কোন ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও জনদুর্ভোগ মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, মানুষের জান-মাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার প্রয়োজনে যে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে কার্পণ্য করবে না। 
তাজুল ইসলাম আজ রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে মেয়র মো. হানিফ মিলনায়তনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে ডেংগু প্রতিরোধ ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের নামে যারা দেশকে অচল করতে চায়, তাদের জানা উচিত যে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা দেশকে সচল করার জন্যই হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আন্দোলন এবং সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তাই আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের শান্তির জন্য ছাড় দিচ্ছে। তবে তা কেউ দুর্বলতা হিসেবে মনে করলে ভুল করবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যরিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
ডেংগু প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তাজুল ইসলাম  বলেন, ডেংগু প্রতিরোধে পাড়া মহল্লায় এডিস মশা প্রতিরোধ ও পরিচ্ছন্নতা কমিটি গঠন করে সমাজের সকল স্তরে ডেংগু মশা যাতে প্রজনন করতে না পারে, লার্ভা বিস্তার না করে সে জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। 
এছাড়াও শুক্রবার জুম¥ার নামাজের খুৎবায় এডিস মশা ও ডেংগু প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা করার বিষয়ে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 
এছাড়াও ডেংগু প্রতিরোধে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে সারা বছর ডেংগু সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও ডেংগু সচেতন করে তোলা অপরিহার্য।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ঢাকা দক্ষিণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কাজের সঙ্গে যুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের পক্ষে এস.এম. মনজুরুল হক।