শিরোনাম
ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : আইসল্যান্ডে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এ. কে. এম. শহীদুল করিম সেদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকাভিকে ‘প্রেসিডেন্সি ভবন বেসাসতাদিরে’ মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি গুডনি থরলাসিয়াস জোহানসন এর কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন।
পরিচয়পত্র পেশের পর আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একান্ত এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে, আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান।
এ সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তাঁকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। আজ বুধবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও আইসল্যান্ডের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বন্ধুত্বপূর্ণ দু’টি দেশের স্বার্থে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে যথাসম্ভব অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
শহীদুল করিম বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশেষতঃ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রপতিকে দুদেশের সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তথ্য-প্রযুক্তি, পর্যটন, পোশাকশিল্প, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ অন্যান্য খাত সম্পর্কে অবহিত করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরেরও আমন্ত্রণ জানান।
আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা, নারীর ক্ষমতায়ন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের শান্তি রক্ষীবাহিনীর অবদান এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও উদ্যোগ গ্রহণের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দুইদেশ একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি তাঁর দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে দায়িত্ব পালনে আইসল্যান্ডের সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও আইসল্যান্ড এই দ’ুটি শান্তিকামী দেশ দুইদেশের জনগণের উন্নয়ন, শান্তি, সমৃদ্ধি ও মানবতার সেবায় একসাথে কাজ করে যাবে। রাষ্ট্রপতি তাঁর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।