শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস): বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সৌরশক্তি বিকাশে ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলায়েন্সকে (আইএসএ) উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রবর্তন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কেন্দ্রবিন্দু হতে হবে। দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি ও সদস্যদের চাহিদা বিবেচনা করে কর্মসূচি গ্রহণ করলে আইএসএ সৌর বিদ্যুৎ প্রসারে কার্যকরী অবদান রাখতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সোমবার অনলাইনে ইন্টারন্যাশনাল সোলার এলায়েন্স-এর নবম স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় বক্তৃকালে এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, একত্রে সমন্বিতভাবে পরিকল্পনা করতে পারলে সোলার প্রকল্পের কার্যকর বিকাশ সম্ভব হবে। সৌরশক্তিকে সারা বিশ্বেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বাংলাদেশেও সৌর শক্তির বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা প্রায় ১২শ’ মেগাওয়াট, যার মধ্যে সোলার পার্ক থেকে ৪শ’ ৬১ মেগাওয়াট এবং সোলার রুফটপ থেকে প্রায় ৩শ’ ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। উপরন্ত ১২শ’ ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পার্ক নির্মাণাধীন এবং নবায়নযোগ্য উৎস থেকে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্পগুলোর কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
কান্ট্রি পার্টনারশিপ চুক্তি ও কৌশল চূড়ান্ত হবার পর বিদ্যুৎ বিভাগের সহযোগিতায় আইএসএ, সৌর শক্তিচালিত কৃষি অ্যাপ্লিকেশন, কোল্ড স্টোরেজ, স্লুইস গেট অটোমেশন, জরুরি স্বাস্থ্য সেবা সোলার রুফটপ, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে সোলার রুফটপ এবং ভাসমান সৌর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও অগ্রতিতে সহযোগিতা করবে।
ভারতের বিদ্যুৎ ও নতুন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী আর কে সিং এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান আইএসএ’র মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুর ও সদস্য রাষ্ট্রের সমূহের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও উপযুক্ত প্রতিনিধি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।