শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) ঃ ইতালির রোম শহরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও রোমে অবস্থিত গুলিয়েলমো মার্কনি (Guglielmo Marcony) গ্রন্থাগারের যৌথ উদ্যোগে ওই গ্রন্থাগারে ‘বাংলাদেশ কর্ণার’ স্থাপন করা হয়েছে।
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান এবং মার্কনি গ্রন্থাগারের পরিচালক কিয়ারা পমা যৌথভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর-’২৩) আমন্ত্রিত বিদেশী অতিথিদের পাশপাশি ব্যাপক সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশির উপস্থিতিতে গুলিয়েলমো মার্কনি গ্রন্থাগারে ‘বাংলাদেশ কর্ণার’ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইতালির লুমসা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সংস্কৃতির অধ্যাপক ফ্রান্সেস্কো যানিনি (Francesco Zannini), সাপিয়েঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টাল স্টাডিস’র প্রাক্তন অধ্যাপক ও বাংলাদেশি ইতালিয়ান লেখিকা নিমান সোবহান, ইতালি-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েশনের পরিচালক, এশিয়া বিষয়ক ইতালিয়ান থিংকট্যাংক’র (আইএসআইএ) মহাসচিব ডমিনিকো পালমিয়েরি এবং ইতালিয়ান ফটোসাংবাদিক স্টিফানো রোমানো বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির কর্মস্থল রোমের একটি স্বনামধন্য গ্রন্থাগার গুলিয়েলমো মার্কনিতে ‘বাংলাদেশ কর্ণার’ স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং লাইব্রেরির পরিচালককে জানান প্রাণঢালা অভিনন্দন।
তিনি এ সময় জানান, বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে উপহার হিসেবে প্রদত্ত ৭০ টি বইয়ের মধ্যে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী (বাংলা ও ইতালিয় ভাষায় অনূদিত), বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর বিভিন্ন প্রকাশনা, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বাংলা ভাষায় রচিত বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম, রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা বিষয়ক প্রকাশনা এবং ইতালীয় ভাষায় রচিত এবং অনূদিত বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার উপর বিভিন্ন প্রকাশনা। এছাড়াও, প্যধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অভিযাত্রা বিষয়ক কয়েকটি প্রকাশনাও স্থান পায় গ্যালারীতে।
আজ শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রোমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এই অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে উপস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটির সবাইকে বই পড়া, বাংলা ভাষা চর্চা এবং যথাযথ জ্ঞানার্জন করার আহবান জানান।
অন্যান্য বক্তা বাংলাদেশ দূতাবাসের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ কর্ণার’ বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশ বাংলাদেশ ও ইতালির মানুষের মধ্যে বন্ধন দৃঢ়তর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
রাষ্ট্রদূত এবং গ্রন্থাগারের পরিচালক যৌথভাবে অন্যান্য অতিথিদের উপস্থিতিতে ফিতা কেটে বাংলাদেশ কর্ণারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা, প্রবাসী সাংবাদিক, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, ইতালিয়ান পাঠক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, দূতাবাসের এই উদ্যোগটি চলমান জনকূটনীতি কার্যক্রমের একটি অংশ বলে দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।