শিরোনাম
ঢাকা, ৪ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আগামীকাল ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘প্রথম ইউনিটের পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ’ এর শুভ উদ্বোধন হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। জ্বালানি নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমি এই শুভক্ষণে অভিনন্দন জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যাঁর স্বপ্নদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”
তিনি বলেন, পরমাণু শক্তি দূষণমুক্ত, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উৎস। বিশ্বের অল্পসংখ্যক দেশ উচ্চ প্রযুক্তির পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনায় সক্ষমতা অর্জন করেছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট গ্রাজুয়েশনের মাধ্যমে বাংলাদেশও পারমাণবিক বিদ্যুৎ যুগে প্রবেশ করলো। এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাংলাদেশকে একটি অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি আশা করি, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে মানবকল্যাণসহ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন আরো বেগবান হবে। এই অর্জন শুধু পারমাণবিক শক্তির প্রতি আমাদের আত্মনিবেদনই নয় বরং আমাদের অগণিত প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রতীক যাদের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সাফল্য নিশ্চিত হয়েছে। আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, সরকার দেশকে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ও টেকসই সমাজ হিসেবে রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টা, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও সাহসী সিদ্ধান্তের সুফল অচিরেই বাংলার জনগণ ভোগ করবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর অবদান রাখার জন্য আহ্বান জানান।
তিনি ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের’ সফলতা কামনা করেন।