শিরোনাম
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ দেশের অর্থনৈতিক ভীত মজবুত করেছে : ওয়াসিকা আয়শা খান
ঢাকা, ৪ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এনার্জি ডিপ্লোম্যাসির ফসল নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ দেশের অর্থনৈতিক ভীত মজবুত করেছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে জ্বালানির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলেও এখন অনেকে এসি, রাইস কুকার ইত্যাদি যন্ত্র ব্যবহার করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এনার্জি ডিপ্লোম্যাসি নিয়ে যেভাবে কাজ করেছেন, বিশ্বের অনেক সরকারপ্রধানই পারেননি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ দেশের অর্থনৈতিক ভীত মজবুত করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে। প্রায় ৩৩টি নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। আমাদের সোলার, উইন্ড পাওয়ার রয়েছে। একটি হাইড্রো পাওয়ার প্ল্যান্টও রয়েছে।’
আজ রাজধানীর এমজেএফ টাওয়ারের আলোক অডিটোরিয়ামে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত 'রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যান্ড জেন্ডার ইমপ্যাক্ট' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ওয়াসিকা আয়শা খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কপ সম্মেলনে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড থেকে যুদ্ধের জন্য প্রচুর বরাদ্দ দেয়া হয়, কিন্তু জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য কোন বরাদ্দ দেয়া হয় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশই প্রথম নিজস্ব অর্থায়নে একটি ক্লাইমেট ফান্ড করেছে।
আমাদের দেশে কার্বন নিঃসরণ খুব কম হলেও আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে গুরুত্ব দিচ্ছি, যেন আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।’
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। স্টেম এডুকেশনে আগ্রহী করার জন্য নারীদের মেন্টরশিপের প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের পুরো লেবার ফোর্সে ৪০ শতাংশ নারী আছেন। নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের জিডিপিতেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
তিনি বলেন, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান বাস্তবায়নের ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রতি বছর সব মন্ত্রণালয় যেভাবে নারীদের উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিচ্ছে তাতেও নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। এক্ষেত্রে আরো গবেষণা ও বিশ্লেষণের প্রয়োজন যে কীভাবে নারীদের অংশগ্রহণ ও জীবনযাত্রার মান বাড়ানো যায়। নারীদের জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নে নীতিনির্ধারকদের ভূমিকা রাখতে হবে।
এমজেএফ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক, এটুআই-এর জেন্ডার স্পেশালিস্ট নাহিদ শারমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব ও গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।