শিরোনাম
ঢাকা, ৮ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি আজ ডেংগু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রাজধানীর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকাভুক্ত বাড্ডা ও বারিধারার কয়েকটি বসতবাড়ি ও নির্মানাধীন স্থাপনা পরিদর্শনকালে এই গুরুত্বারোপ করেন।
জনগণকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় উদ্বুদ্ধ করতে এবং মশার লার্ভার উৎসস্থল চিহ্নিত করতে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম আরো গতিশীল করার উদ্দেশ্যে তিনি এই পরিদর্শন করেন।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আশেপাশের জনসাধারণের মধ্যে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু রোগের ধারক ও বাহক এডিস মশা মূলত মানুষের বাসা বাড়ি কিংবা নির্মাণাধীন স্থাপনায় জন্ম নেয়। এ মশা নদী, নালা, খাল, বিল, নর্দমার পানিতে জন্ম নেয় না। তিনি বলেন, এ মশা প্রজননের জন্য জমাটবদ্ধ পরিষ্কার পানি প্রয়োজন হয়। ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে আসছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আরো মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে, সচেতনতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে।
জানুয়ারি মাস থেকে মশার ঔষুধ ছিটানোর বিষয়ে তিনি বলেন, যখন মশা অথবা লার্ভা থাকে না, তখন ওষুধ ছিটিয়ে কোন লাভ হয় না। এলাকায় যখন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হয়, তারপর এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হওয়ার মত পরিবেশ সৃষ্টি হয়, সিটি কর্পোরেশন তখন থেকেই মশার ওষুধ ছিটানো শুরু করে।
তিনি আরো বলেন, আবার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় চাইলেও আমরা প্রতিদিন মশার ওষুধ দিতে পারি না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মোতাবেক প্রতি ২ থেকে ৩ দিন পর পর মশার ওষুধ দেওয়া যায়।
এ সময় বাড্ডার একটি নির্মানাধীন স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ভবনটিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং অন্য দুটি ভবনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।