শিরোনাম
ঢাকা, ৮ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে আজ রোববার রাজধানীর বাড্ডা ও নতুন বাজার এলাকায় মশক বিরোধী ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করা হয়। আজকের অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৮ মামলায় মোট ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও অন্য দুইটি ভবনে লার্ভা পাওয়ায় দুটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ডেঙ্গু রোগের ধারক ও বাহক এডিস মশা মূলত মানুষের বাসা বাড়ি কিংবা নির্মাণাধীন স্থাপনায় জন্ম নেয়। এ মশা নদী, নালা, খাল, বিল, নর্দমার পানিতে জন্ম নেয় না। এ মশা প্রজননের জন্য জমাটবদ্ধ পরিষ্কার পানি প্রয়োজন হয়। ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে জনগণকে সাথে নিয়ে সবার সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। দুই মাস আগে একেকদিন কারো বাড়িতে পাঁচ লাখ, কারো অফিসে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এমনকি একদিনে ২৫ লাখ টাকাও জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, অক্টোবর মাসে এখন বৃষ্টি হচ্ছে, আবার রোদ হচ্ছে। এই আবহাওয়ায় এডিস মশার লার্ভা বেশি জন্মায়।
নতুন পরিকল্পনা সম্পর্কে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, প্রতিটি থানাকে প্রথমে ছয়টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। আবার এ ছয়টি জোনের প্রতিটিকে ১০ ভাগ করা হয়। অর্থাৎ প্রতিটি থানাকে ৬০ ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগে শনিবার থেকে টিম মশা নিধনের কাজ করছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, 'আমরা জরিমানা করতে চাই না। এডিস মশা ড্রেনে হয় না, বাসা বাড়িতে হচ্ছে। বিশেষ করে যেখানে কার পার্কিং, গাড়ি ধোয়ার কাজ করা হয়, সেখানে এডিস মশা জন্মাচ্ছে। গাড়ি ধোয়ার পর সেই জায়গায় একটু ব্লিচিং পাউডার, কেরোসিন ছিটিয়ে দিলেই হয়।
মেয়র আরও বলেন, 'জনগণকে যত বেশি সম্পৃক্ত করতে পারবো, ততবেশি আমরা এডিস মশা থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবো।
অভিযানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম গণি, ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।