শিরোনাম
ঢাকা, ৯ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, ভাষা, বিশেষ করে মাতৃভাষার ওপর দক্ষতা, সুস্থ্য সংস্কৃতির চর্চা এবং শিক্ষার সমৃদ্ধি একটি জাতির কাঙ্খিত উন্নতির জন্য অত্যন্ত জরুরি।
ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে জাতি ভাষা ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ তাঁদের কখনোই ষড়যন্ত্র করে দাবিয়ে রাখা যায় না।
ডেপুটি স্পিকার রোববার রাজধানীর কাকরাইলস্থ ‘ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স’ (আইডিইবি) ভবনের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তন হলে ‘স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলা’ ও দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শামসুল হক টুকু বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে বিজয়ী শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে ‘দি আমব্রেলা ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, দিয়ামনি মাল্টিমিডিয়া আইডল অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ সম্মাননা তুলে দেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই মূলত বাঙালি জাতি একত্রিত হয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যায়। বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতির ওপর যেকোনো ধরনের আঘাত রুখে দিতে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ, জাতির পিতা ‘আমাদের মহান সংবিধানে ভাষা ও সংস্কৃতির চর্চা, লিঙ্গ সমতা ও মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছেন’।
মো. শামসুল হক টুকু বলেন, ‘ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করার অন্যতম বাহন হচ্ছে চলচ্চিত্র। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নানা উদ্যোাগ গ্রহণ করেছিলেন। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র অঙ্গনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কিশোরকালেই বাঙালি জাতির মুক্তির বিষয়ে ভাবতেন। বাঙালি জাতিকে হারানো অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের প্রশিক্ষিত করেছেন।’
চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক কাজী হায়াৎ, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক শওকত আলী ইমন, চিত্রনায়িকা শাহনুর ও সুচন্দাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।