শিরোনাম
সাভার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের সপ্তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হলো। প্রধানমন্ত্রী তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতে প্রদান করা হচ্ছে এবারের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়- যা ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলে। সারা দেশ থেকে আসা ৭৫০টিরও বেশি সংগঠনের আবেদনের মধ্য থেকে যাচাই বাছাই ও ফিল্ড ভিজিট শেষে ৬ ক্যাটাগরিতে এবার ১২টি সংগঠনকে প্রদান করা হচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
এবারের পুরস্কারের জন্য গঠিত জুরি বোর্ডে ছিলেন অ্যাক্টিভিস্ট ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর, মুক্তিযোদ্ধা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মখদুম নার্গিস, সাংবাদিক ও আর্টিস্ট এলিটা করিম, অভিনয় শিল্পী মোশাররফ করিম, উদ্যোক্তা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মালিহা মান্নান আহমেদ, বাংলাদেশ নারী জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি এবং সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।
এই বিশেষ প্যানেলের দীর্ঘদিনের বিচার-বিশ্লেষণ শেষে বাছাই করে ২৬ সংগঠনকে এবং সেখান থেকে ১২টি সংগঠনকে বেছে নেয়া হয়- যাদের হাতে আজ (১৮ নভেম্বর) তুলে দেয়া হচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে ধারণ করে তরুণদের দেশ গঠনে উদ্বুদ্ধ করতে নিয়মিত প্রদান করা হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
আয়োজক ইয়াং বাংলা জানায়, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে পরিচিত করে তুলতে এবং বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। তাদের কাজের স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দিতেই এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
২০১৪ সালে প্রথম বারের মতো সমাজে বাল্যবিবাহ বন্ধ, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদান ও সুস্থদের সহযোগিতা করা যুবক ও যুব সংগঠনকে '‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’-এর আওতায় পুরস্কৃত করা হয়। গত কয়েক বছরে এই পুরষ্কার পাওয়া ব্যক্তি ও সংগঠন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশকে তুলে ধরা ও অন্যদের মাঝে অনুপ্রেরণা তৈরি করা গেছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। চলতি বছর ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের সংগঠনগুলোকে ৬টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। ক্যাটাগরিগুলো হলো- দক্ষতা ও কর্মসংস্থান, শিল্প ও সংস্কৃতি, নিজ সমাজে সুস্থতা ও এ বিষয়ক সচেতনতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু ও পরিবেশ এবং উদ্ভাবন ও যোগাযোগ। এই ক্যাটেগরির আওতাভুক্ত যে সংগঠনগুলো নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন, পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও বিনোদন, জ্ঞান ও সক্ষমতা বিকাশ, অতিদরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জরুরি সেবা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে- তাদের উদ্যোগগুলোতে যাচাই বাছাই শেষে প্রদান করা হচ্ছ এই পুরষ্কার।
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পুরষ্কার পাওয়া সংগঠনগুলো ছাড়াও ৩০০টির বেশি সংগঠন নিয়ে ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এই সংগঠনগুলোসহ ইয়াং বাংলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক ও ৩ লাখের বেশি সদস্য। ২০২২ সালের মে মাসে ইয়াং বাংলার সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।