শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সঙ্গে বাংলাদেশের জলবায়ু সংবেদনশীল অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে উপযুক্ত এবং আর্থ-সামাজিকভাবে লাভজনক অভিযোজন এবং জলবায়ু সহিষ্ণু ফসলের মূল্য শৃঙ্খল প্রসারে একটি আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এফএও ৬ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সামাজিক ও পরিবেশগত সুরক্ষার সর্বোত্তম কার্যক্রমগুলো অনুসরণ করে জলবায়ু সহনশীল এবং প্রকৃতিগত ইতিবাচক উৎপাদন ব্যবস্থায় বাংলাদেশের রূপান্তরের জন্য ডিএইকে সহায়তা করবে।
এফএও’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিল্ডিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট লাইভলিহুডস ইন ভালনারেবল ল্যান্ডস্কেপস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতি মানুষ, সমাজ ও বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিশীলতা উন্নত করা এবং বাংলাদেশের কৃষি খাদ্য ব্যবস্থায় মূল্য সংযোজন বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবিকার উন্নতি ঘটানো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, নিম্ন আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, অপর্যাপ্ত পরিস্থিতি এবং সীমিত মোকাবেলার ব্যবস্থার সঙ্গে মিলিত চরম আবহাওয়ার ক্রমবর্ধমান তীব্রতা এবং তারতম্যের আলোকে আমরা আশা করি, এফএও এবং ডিএই অংশীদারিত্ব জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাস করবে এবং লবণাক্ত ও জলাবদ্ধতা প্রবণ অঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রামের উচ্চ বরেন্দ্র অঞ্চলে স্থানীয় পর্যায়ে স্থিতিশীলতা গড়ে তুলবে।
এই চুক্তির আওতায় ডিএই ১৬ হাজার হেক্টর জমি জলবায়ু সহনশীল কৃষি ব্যবস্থার আওতায় আনবে, সহিষ্ণু বিষয়ে ৩২ হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ, ১৯ হাজার হতদরিদ্র কৃষককে যন্ত্রপাতি, খামার সরঞ্জাম এবং ঝুঁকি-সহনশীল বীজ সরবরাহ করা, ১৫০ টি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ কাঠামো এবং ৩০০টি মহিলা নেতৃত্বাধীন ভার্মিকম্পোস্ট খাত এবং ১০০ টি কমিউনিটি বীজ ব্যাংক স্থাপন করা।
ডিএই সপ্তাহে দুবার গম, ভুট্টা, আম, কাজুবাদাম, তরমুজ এবং ড্রাগন ফলের জন্য ২৭,২০০ জন কৃষকের কাছে শস্য পরামর্শ এবং কৃষি বান্ধব তথ্য প্রচার করবে। বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে এবং কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য ডিএই কৃষক সংগঠন এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে ৪৫ হাজার টন উৎপাদিত পণ্য বিক্রির সুবিধা দেবে এবং ১০০ উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র এসএমইকে ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ দেবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে, ডিএই এবং এফএও’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি, কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর, প্রযুক্তি হস্তন্তর, প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধান, জলবায়ু অর্থায়ন এবং বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার জন্য তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।