বিচার বিভাগে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রস্তাব বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের

বাসস
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:৫৯
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান আজ বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন। ছবি: Chief Adviser GOB

ঢাকা, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (বাসস): বিচার বিভাগে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রস্তাব করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন আজ হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। মোট ২৮ দফা প্রস্তাবের পনের নম্বরে রয়েছে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন সংক্রান্ত অংশটি।

বিচার বিভাগে দুর্নীতি প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন সকল পর্যায়ের বিচারকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য দুর্নীতি বিরোধী সুষ্পষ্ট বিধানসম্বলিত আচরণবিধিমালা প্রণয়ন। প্রতি তিন বছর পর পর সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতের বিচারকদের সম্পত্তির বিবরণ সুপ্রিম কোর্টে প্রেরণ এবং তা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা। প্রতি তিন বছর পর পর সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পত্তির বিবরণ সুপ্রিম কোর্টের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে এবং অধস্তন আদালতের ক্ষেত্রে জেলা আদালতের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা। 

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট এর বিচারকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ লিখিতভাবে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল এর কাছে পৌঁছানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ বাক্স স্থাপন এবং ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ দাখিলের জন্য ডেডিকেটেড ইমেইল এ্যড্রেস জনসাধারণকে প্রদান করা। অধস্তন আদালতে কর্মরত বিচারকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সমন্বয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠন করা। তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রতি ৩ মাস পর পর সিদ্ধান্ত প্রদান। তদন্ত কমিটিতে অভিযোগ জানানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ বাক্স স্থাপন এবং একটি ডেডিকেটেড ইমেইল এড্রেস জনসাধারণকে প্রদান করা। অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিরীক্ষার জন্য জেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটি কর্তৃক দাখিলকৃত সকল অভিযোগ পর্যালোচনা করা এবং অভিযুক্ত কর্মকতা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দাখিলের জন্য প্রতিটি জজশিপ ও ম্যাজিস্ট্রেসিতে একটি অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা এবং ই-মেইলের মাধ্যমে দুর্নীতির শিকার ব্যক্তি যেন তাঁর অভিযোগ জানাতে পারে, সে জন্য জনসাধারণকে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে একটি ডেডিকেটেড ইমেইল এ্যাড্রেস (যা প্রতিটি জজশিপ ও ম্যাজিস্ট্রেসির জন্য আলাদা হবে) প্রদান করা। আইনজীবীদের দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি জেলায় পৃথক পৃথক অভিযোগ গ্রহণ ও তা নিষ্পত্তির জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা। বিচারাঙ্গণে দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য একটি অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা চালু করা। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বিজয়ের ব্যাটিংয়ে হ্যাটট্রিক জয় খুলনার
যুব সংহতির একাংশের যুগ্ম মহাসচিব পাভেল রিমান্ডে 
লালমনিরহাটে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু 
নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে টানা তিন জয়ের পর হারল চট্টগ্রাম
পালাউয়ের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ 
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজ আটক এবং ত্রাণ সহায়তাকারীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ নাগরিক ঐক্যের
বিমানবন্দর থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার
স্কুল হ্যান্ডবল সেমিফাইনাল কাল
শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন : চসিক মেয়র
নির্বাচনের আগে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করতে হবে : আসাদুল হাবিব দুলু
১০