শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আল্লাহর দলের কুমিল্লা বিভাগের আঞ্চলিক প্রধানসহ ৫ জন সক্রিয় জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) একটি দল শনিবার বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার দক্ষিণ ঠাকুরপাড়া, রামমালা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটকৃতরা হচ্ছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার হরিপুর গ্রামের মো. আরিফুর রহমানের পুত্র মো. মশিউর রহমান ওরফে রাসেল (৩৭), কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার জয়ন্তী নগর গ্রামের আব্দুস সোবহানের পুত্র আবু সুফিয়ান (২০), একই জেলার বরুড়া থানার ঝলম গ্রামের মো. মনতাজ উদ্দিনের পুত্র মো. সালাউদ্দিন (৪৩), ফেনী জেলার সদর থানার মাথিহারা গ্রামের মৃত ইসহাকের পুত্র আলাউদ্দিন (৩১) ও একই জেলার পরশুরাম থানার দক্ষিণ টেটেশ্বর গ্রামের মৃত আব্দুল গনির পুত্র মো. জুলহাস হোসেন ওরফে জুলাস (২৫)। তদের কাছ থেকে ৮টি মোবাইল ফোনসহ বিপুল পরিমাণ সাংগঠনিক দলিল জব্দ করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে এ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) হেডকোয়ার্টারে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের এসপি মোহাম্মাদ ছানোয়ার হোসেন এসব তথ্য জানান।
এটিইউ এ্যাডিশনাল ডিআইজি হাসানুল জাহীদ, অপারেশন লিড এ্যাডিশনাল এসপি তাসমীন আক্তার, আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র এএসপি ও সহকারী পরিচালক ওয়াহিদা পারভীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ ছানোয়ার হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দল’র সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজোসে, সংঘবদ্ধভাবে বাংলাদেশের অখন্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য এবং জনসাধারণের ভিতর আতংক সৃষ্টি ও ধর্মীয় উগ্রবাদী মতার্দশ প্রচার করে আসছিলো। তারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি ও নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠকে বিভিন্ন পরিকল্পনা, দাওয়াতি কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ সংবদ্ধভাবে কাজ করছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মো. মশিউর রহমান ওরফে রাসেল, আবু সুফিয়ান ও আলাউদ্দিন জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দল’র জেলা নায়ক। সালাউদ্দিন জেলা প্রতিনিধি এবং মো. জুলহাস হোসেন ওরফে জুলাস সদস্য হিসেবে সংগঠনকে সমর্থন, সংগঠনের জন্য চাঁদা প্রদান ও উত্তোলন, পরিকল্পনা ও প্ররোচনার দায়িত্ব পালন করে আসছিল। তারা ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে ধর্মের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে তাদের আদর্শের অনুকূলে সদস্য সংগ্রহপূর্বক চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে তাদের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।