শিরোনাম
ঢাকা, ২ ডিসেম্বর ২০২৩ (বাসস) : সকল প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা যেন নিরাপত্তা ঘাটতিতে না ভোগেন।
আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, "স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে মেসেজ দিয়েছি। এটা পুলিশের ঊর্দ্ধতনদের ও রিটার্নিং অফিসারদের বলেছি। জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এসেছিলেন, সব বিষয়ে তাদের মেসেজ দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি কারও গাফিলতিতে কিছু হয়, তার বিরুদ্ধে ইলেকশন কমিশন স্ট্রং ব্যবস্থা নেবে।"
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতগুলো দল আংশ নিচ্ছে, এমন প্রশ্নে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, মোট নিবন্ধিত যে ৪৪টি রাজনৈতিক দল আছে, তার মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। জেডি পিপলস নামের একটি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, এটি আমাদের নিবন্ধিত দল নয়। যে তথ্য আছে তাতে ২ হাজার ৭১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
৫ টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি এবং একটি স্থানে ডাবল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তথ্য জানা গেছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, আওয়ামী লীগ থেকে ৩০৪ জন মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। যে ৫টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়নি, সেখানে স্বতন্ত্র হিসেবে পূরণ করেনি, সে মনোনয়পত্রে আওয়ামী লীগ লেখা আছে। সেটা বাছাইয়ের সময় দেখা যাবে। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নিবেন।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় একটা স্বতন্ত্র হিসেবে আরেকটি দলীয় হিসেবে পূরণ করতে হয়। কেউ দলীয় হিসেবে
মনোনয়ন ফরম পুরণ করলে, তার বৈধ্যতা বা অবৈধ্যতা, সেটা বাছাইয়ের সময় নির্ধারিত হবে।
ওসি ও ইউএনওদের রদবদল প্রশ্ন তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশন চেয়েছে। কমিশনারগন গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় এবং অঞ্চল পর্যায়ে সফর করেছেন, তাদের ফাইন্ডিংসের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গত ৩০ নভেম্বর এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের কাছে মাঠ পর্যায় থেকে যে তথ্য আসে তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন অনুভব করেছে, এই বদলির দরকার।
ডিসি-এসপিদের বদলির কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানা নেই। পরবর্তীতে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয়, তখন বলতে পারব। যদি নির্বাচন কমিশন বসে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে এটা হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক নয়।