শিরোনাম
নয়াদিল্লি, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) সম্পর্কিত অংশীজনদের সভায় বক্তারা এভিয়েশন শিল্পের আধুনিক বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এই ব্যবসাকে অধিকতর সম্প্রসারণ ও টেকসই করার লক্ষ্যে এর গুণগতমান ও গ্রাহকসেবা আরও উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিমান আগের চেয়ে ভালো করলেও, বেসরকারি খাতের পরিচালিত এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আরও বেশি ভূমিকা রাখতে একমাত্র জাতীয় পতাকাবাহী বিমান হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অ্যারো সিটির একটি হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জিএসএ-বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হরবিন্দর সিং দুগ্গাল।
বিমানের নয়াদিল্লীর কান্ট্রি ম্যানেজার কাজী নাসিরুল আলমের সভাপতিত্বে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (পিএন্ডপি) শাকিল মেরাজ বিমানের এনআইএস সম্পর্কে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা হিসেবে পর্যাপ্ত ইন-ফ্লাইট পরিষেবা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা, যথাসময়ে কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করা এবং যাত্রীদের আস্থা ও বিশ্বস্ততা অর্জনের জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা চালু করা বিমানের দায়িত্ব।
তিনি আরো বলেন, ‘এখানে জাতীয় অখ-তা কৌশলের গুরুত্ব আসে- যা এই উদ্দেশ্যগুলো অর্জনের লক্ষে নির্দেশিকা হিসাবে কাজ করতে পারে।’
তিনি টিকিট কেনার জন্য মোবাইল অ্যাপ প্রবর্তন, বিভিন্ন ডিজিটালাইজড সেবা এবং সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য একটি অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাসহ বিমানের নানা উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠান ও সমাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সততা প্রবর্তনের জন্য এনআইএস প্রণয়ন করেছে। কৌশলটির সামগ্রিক উদ্দেশ্য হল-সুশাসন নিশ্চিত করা ও জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করা।
রাষ্ট্রদূত আরা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ঢাকাকে এ অঞ্চলে একটি এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে এবং অন্যান্য আঞ্চলিক বিমানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সক্ষম হিসেবে দেখতে চায়।
মানসম্পন্ন সেবা প্রদানে বিমানের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় পতাকা ক্যারিয়ারে এটিকে আরও নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং ঢাকাকে একটি আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তোলার সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করে এর সুনাম আরও বৃদ্ধি করার জন্য প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা কোন কিছুর ভাবমূর্তি বা খ্যাতি সম্পর্কে কথা বলি- তখন শুদ্ধাচার একটি মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা উচিত। এটি (শুদ্ধাচার) নৈতিক স্বচ্ছতাকে উন্নত করতে সাহায্য করার পাশাপাশি সৎ কর্ম সম্পাদনে আমাদের দিকনির্দেশনা প্রদান করে।’
বৈঠকে বিমানের নয়াদিল্লি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অন্যান্য অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।