শিরোনাম
ঢাকা, ১২ নভেম্বর ২০২৪(বাসস): বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আজ বিকেলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আলোচনায় কমিশনের কাজের অগ্রগতি কতটুকু-এটি জানতে চেয়েছি। ওনারা যেভাবে এগোচ্ছেন, আমি খুবই আশাবাদী।...ওনারা (বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন) কিছু সমস্যার কথাও বলেছেন। ওনাদের যথেষ্ট সাপোর্ট (সহায়তা) দিতে পারছি না।’
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘দুটি ব্যাপারে ওনাদের কাছে নির্দিষ্টভাবে সহায়তা চেয়েছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গায়েবি মামলা হতো। সরকারের পক্ষ থেকে গায়েবি মামলা দিত। আর এখন আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দিচ্ছি না। সাধারণ লোকজন, ভুক্তভোগী লোকজন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, তারা অন্যদের ব্যাপারে ঢালাও মামলা দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ঢালাও মামলার একটা খুব মারাত্মক প্রকোপ দেশে দেখা দিয়েছে। এটি আমাদের অত্যন্ত বিব্রত করে। আমরা অনেক ধরনের আইনি সংস্কারের কথা ভাবছি। আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছি। নাদের কাছে আমাদের একটা প্রত্যাশা যে ওনারা আইনগতভাবে কীভাবে বিষয়টি ট্যাকল (সামাল) করা যায়-পরামর্শ নিতে এসেছি। ওনারা পরামর্শ দেবেন, কাজ করে, রিসার্চ করে জানাবেন।’
আরেকটি বিষয় উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘নেক্সটে উচ্চ আদালতে যে বিচারক নিয়োগ হবে, সেটি আমরা একটা আইনের মাধ্যমে করতে চাচ্ছি। আইনের মাধ্যমে করার দাবি সমাজে বহুদিন যাবৎ আছে। ২০০৮ সালে এ রকম একটা আইন হয়েছিল। পরে তা আইনে রূপান্তরিত হয়নি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এসে ওটাকে আইনে রূপান্তরিত করেনি। ওই আইনটা আরও বেশি যুগোপযোগী করার জন্য ওনাদের (বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন) সহায়তা চেয়েছি, যাতে নেক্সটে যে নিয়োগ হবে সেটি যাতে আমরা আইনের মধ্য দিয়ে করতে পারি।’
বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ৩ অক্টোবর গঠন করা হয়।
কমিশনের প্রধান হচ্ছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান। অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমদাদুল হক, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ আমিনুল ইসলাম ও মাসদার হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপন।
রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ কমিশন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিভিন্ন অংশীজনের সাথে মতবিনিময় করছেন এ কমিশন।