বাসস
  ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫১

প্রবাসীদের কল্যাণকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

সিলেট, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেছেন, প্রবাসীরা আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তাই প্রবাসীদের কল্যাণেই কাজ করাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার রাতে নিজ নির্বাচনী এলাকা সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর শহরের নতুন বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ সময় শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করায় প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ওই সম্মান শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও রক্ষা করবো। তিনি সকলের সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।
শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলে কম খরছে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করতে চাই। পাশাপাশি আপনাদেরকে নিয়েই সিলেট-২ আসনের কাঙ্খিত উন্নয়ন করব। এমপি-মন্ত্রী বড় কথা নয়, যতদিন বেঁচে থাকব আপনাদের একজন হয়েই মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ এবং যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মোশাহিদ আলী, নাজনীন হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ। 
অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপিকে বিপুলভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এরআগে সিলেট নগরীর পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সিলেট উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি। সেখানে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
নির্বাচন করেছে এদেশের মানুষ। নির্বাচনের দিন ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে এসেছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। ৪২শতাংশ মানুষ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেছে।