শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি চক্রের ১৪ জন সদস্যকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ২৪৪টি আসনের টিকেট, ১৪টি মোবাইল ফোন এবং টিকেট বিক্রয়ের নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-৩ এর একটি দল রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলো সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা মো. সেলিম (৫০), তার প্রধান সহযোগী মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম (৬২), অবনী সরকার সুমন (৩৫), মো. হারুন মিয়া (৬০), মো. মান্নান (৫০), মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু (৫০), মো. ফারুক (৬২), মো. শহীদুল ইসলাম বাবু (২২), মো. জুয়েল (২৩) ও মো. আব্দুর রহিম (৩২)। তাদের কমলাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বিমানবন্দর রেলস্টেশনে গ্রেফতারকৃতরা হলো উত্তম সিন্ডিকেটের মূলহোতা উত্তম চন্দ্র দাস (৩০), তার প্রধান সহযোগী মো. মোর্শিদ মিয়া ওরফে জাকির (৪৫), আব্দুল আলী (২২) ও মো. জোবায়ের (২৫)।
ঢাকা, গাজীপুর, বাগেরহাট, লক্ষীপুর, কুমিল্লা, জামালপুর, নরসিংদী, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পঞ্চগড় জেলায় তাদের বাড়ি বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক (মুখপাত্র) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।
এসময় র্যাব সদরদপ্তর ও র্যাব-৩ এর বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির সাথে তাদের সংশ্লিষ্ট থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটিকে কেন্দ্র করে এ চক্রের সদস্যরা প্রতিটি টিকেট ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রয় করে থাকে। প্রতিটি টিকেট তারা দেড় গুণ থেকে দুই গুণে বিক্রি করে এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ পায় তারা এবং বাকি ৫০ শতাংশ কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, সহজ ডট কমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের দেয়া হতো।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র বলেন, গ্রেফতারকৃত সেলিম দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর যাবত টিকেট কালোবাজারির সাথে জড়িত। সে কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় টিকেট কালোবাজারির অভিযোগে ৭টি মামলা হয়েছে এবং ওই মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছে সেলিম। সে জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় এ কাজে লিপ্ত হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।