বাসস
  ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৫

মেজর হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ 

ঢাকা, ৫ মার্চ, ২০২৪ (বাসস): গুলশান থানার নাশকতার মামলায় ২১ মাসের সাজা প্রাপ্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে হুইল চেয়ারে করে তিনি উপস্থিত হন। এরপর আপিল শর্তে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 
মামলা সূত্রে জানা যায়,  গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের কাজে বাধা ও ভাংচুরের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে ২১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন আদালত। 
সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন, সাবেক বিএনপি নেতা ও বিএনএমের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মো. হানিফ। তবে এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী। মেজর হাফিজ শারীরিক অসুস্থতার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন থাকায় এতদিন আদালতে উপস্থিত হননি। 
ঢাকার মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ মামলায় দন্ডবিধির পৃথক ধারায় এ কারাদন্ড প্রদান করেন। তাদের দন্ডবিধির ১৪৩ ধারায় তিনমাস ও ৪৩৫ ধারায় দেড় বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদন্ডের পাশাপাশি তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। তাদের বয়স বিবেচনায় এ কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। 
অপরদিকে মামলার অন্য আসামি এমএ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মঈনুল ইসলাম, মো. বাবুল হোসেন ওরফে বাবু ও মো. আলমগীর হোসেন ওরফে রাজুকে পৃথক দুই ধারায় সাড়ে তিন বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। 
তাদের দন্ডবিধি ১৪৩ ধারায় ছয়মাস ও দন্ডবিধি ৪৩৫ ধারায় তিন বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। কারাদন্ডের পাশাপাশি তাদেরও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। 
এছাড়া মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত অপর ১১ আসামিকে খালাস দেয়া হয়। খালাস প্রাপ্তরা হলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমএ কাউয়ুম, মো. দুলাল,  তোফায়েল আহম্মেদ ওরফে লিটন,  মো. জাহাঙ্গীর শিকদার ওরফে বাবু, আরিফুল ইসলাম, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. সামসুল হক মিয়াজী, মো. বিপ্লব, মো. খুরশিদ আলম মমতাজ, মো. মোশারফ হোসেন ও মো. মাহাবুব। 
গত ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত। 
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাজাপ্রাপ্তদের নেতৃত্বে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানার মহাখালী ওয়ারলেস গেট পানির ট্যাংকের সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ করেন। তরা এ সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলা এবং তাদের কাজে বাধা দেন। ওই সময় তারা রাস্তার যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় আদালত ১২ জনের মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।