শিরোনাম
ঢাকা, ১১ মার্চ, ২০২৪ (বাসস): বাংলাদেশে ব্লেন্ডেড লার্নিং-এর বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে ডিজিটাল লার্নিং প্ল¬্যাটফর্ম চলপড়ি আয়োজিত এ বৈঠকে অংশ নেন বিভিন্ন এনজিও, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
‘স্কেলিং ব্লেন্ডেড লার্নিং ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক বৈঠকেতে সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী এবং চলপড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরীন মাহমুদ হোসেন। অনুষ্ঠানে হাটহাজারী উপজেলার ৫৬টি স্কুলে ব্লেন্ডেড লার্নিং-এর ওপর চলপড়ি’র পরিচালিত প্রকল্পের ফলাফল তুলে ধরা হয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, সেখানে শিক্ষার্থীদের গণিত ও ইংরেজির ফলাফল এবং ক্লাসে অংশগ্রহণ আগের চেয়ে বেড়েছে।
বৈঠকে ব্লেন্ডেড লার্নিং-এর বিস্তার ও দীর্ঘ মেয়াদি সাফল্যের জন্য কার্যকর পরিকল্পনা ও উদ্যোগের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে তুলনামূলক নতুন এই পদ্ধতিটির সঙ্গে পরিচয়ের জন্য যথাযথ শিক্ষক প্রশিক্ষণ, পাঠ্যক্রমে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও শিক্ষা কার্যক্রমে অভিভাবকদের সংযুক্তি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী বলেন, ‘শিক্ষক যখন বলবেন ‘আই অ্যাম দ্য সলিউশন’, তখনই ডিজিটাল এডুকেশন আর ব্লে¬ন্ডেড লার্নিং বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আর এই দায়িত্ব থেকে সরকারকে আমরা সরে যেতে দেবো না। আর সেজন্য শুধু সফলতার গল্প নয়, আমাদের প্রমাণ নির্ভর অ্যাডভোকেসি করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমকে সফল করতে হলে অন্যসব অংশীজনের মতো আমাদের অভিভাবকদের কথাও শুনতে হবে। তারা এই বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’
চলপড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরীন মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং ও পিয়ার টু পিয়ার লার্নিং-এর মাধ্যমে আমরা এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করতে পারি, যা হবে সময়োপযোগী, দায়িত্বশীল ও লক্ষ্যনির্ভর।’
বৈঠকে ব্লেন্ডেড লার্নিং বাস্তবায়নের একটি আনুষ্ঠানিক ও কাঠামোগত নীতিমালা তৈরির আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। সেইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে এই লক্ষ্যে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন বক্তারা।