বাসস
  ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৮

সুপ্রিম কোর্টে মারামারি ঘটনায় ব্যারিস্টার কাজল কারাগারে

ঢাকা, ১৪ মার্চ, ২০২৪ (বাসস): সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি-জামায়াতপন্থী নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ৪ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজদ। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 
এর আগে রোববার (১০ মার্চ) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ। তার আইনজীবী রিমান্ড মঞ্জুর না করে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হুদা চৌধুরী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে তাকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্থান্তর করলে এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
শনিবার (৯ মার্চ) একই ঘটনায় আরও পাঁচ আইনজীবীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তাদের প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 
রিমান্ডভূক্তরা হলেন, এডভোকেট কাজী বশির আহমেদ, এডভোকেট তুষার, এডভোকেট তরিকুল, এডভোকেট এনামুল হক সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী।
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা করা হয়। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ বাদি হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এ মামলা করেন। 
মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। 
মামলায় ভোট গণনা ছাড়াই জোর করে সম্পাদক পদের ফলাফল ঘোষণা, একটি আইফোন, পকেট থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া এবং রড, লাঠি ও চেয়ার দিয়ে হামলার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। 
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, এডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), এডভোকেট শাকিলা রৌশন, এডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার ওসমান, এডভোকেট আরিফ, এডভোকেট সুমন, এডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, এডভোকেট তরিকুল ও এডভোকেট সোহাগ।