শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ মার্চ, ২০২৪ (বাসস) : রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুহুল হাকিম বলেছেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা বুকে ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশকে গড়ে তুলতে হবে এবং দেশের উন্নয়নে নতুন প্রজন্মকে আগামীতে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শিশুদের অনেক ভালোবাসতেন, স্নেহ করতেন।'
আজ রাজবাড়ী অফিসার্স ক্লাব মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা, ও আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবসের আলোচনায় বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রেলপথ মন্ত্রী। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। জিল্লুল হাকিম বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন সোনার বাংলা গড়ার। ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে তারই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্ত ও দৃঢ় মনোবলের কারণে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে শিখেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা সবাই মিলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ । শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির দেশের উন্নয়ন পছন্দ না। তারা মিথ্যা কথা বলতে ভালোবাসে। বিএনপি জনগণের সাথে সব সময় প্রতারণা করে। জনগণও তাদের বিচার করেছে। এখন জনগণ বিএনপিকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করেছে।
তিনি বলেন, 'রাজবাড়ীর মানুষ কোন দিন চিন্তাও করেনি ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুরে পৌঁছাতে পারবে। এখন পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে বাস্তবে সবাই যাচ্ছেন। অনেক স্বপ্নই প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আমাদের পূরণ হয়েছে। আজকে ঢাকায় মানুষ মেট্রোরেলে চড়তে পছন্দ করে। ১০ মিনিটেই মেট্রোরেলে ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যাওয়া যায়। আজকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে মনেই হবে না আমরা বাংলাদেশে আছি।