শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ মার্চ, ২০২৪ (বাসস) : কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার সময় দুর্ঘটনাকবলিত মানুষকে সহযোগিতা করায় স্থানীয় সর্বস্তরের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত মানুষকে উদ্ধার করে তাদেরকে চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতা, মালামাল বুঝিয়ে দেয়া এবং গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া, গন্তব্যে পৌঁছার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করার কাজ যারা করেছেন, এটি অবশ্যই প্রশংসনীয়।’
আজ নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিজয় এক্সপ্রেস দূর্ঘটনা বিষয়ে বাংলাদেশ রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধী সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রেলকে আধুনিক ও উন্নত করা হয়েছে । রেল এখন অনেক দূর এগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে ভাঙ্গা- বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন পৌঁছে দিয়ে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে জনগণের দোরগোড়ায় রেল সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই অনুযায়ী রেলের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী এই উন্নয়নকে থামিয়ে দেয়ার অপচেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছে। তারা বিভিন্নভাবে জাতীয় সম্পদ রেলকে ধ্বংস করে ফায়দা লুটতে চায়, ট্রেনে আগুন দিয়ে অগ্নি সন্ত্রাস করে, রেললাইন তুলে ফেলে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করছে । এসব সন্ত্রাসী কর্মকা- বন্ধ করা কঠিন কোন কাজ নয়, সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে, চেয়ারম্যান-মেম্বার ও স্থানীয় প্রশাসন ঐক্যবদ্ধ থাকলে এসব করার সুযোগ পাবে না। সন্ত্রাসী কর্মকা- করে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন জনগণ আর তাদেরকে চায়না।
জিল্লুল হাকিম বলেন, হাসানপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে কারো কোন প্রকারের শৈথিল্যে বা দায়িত্বে অবহেলার কারণ থাকলে আমরা তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটি, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাসহ সকলে মিলে চেষ্টা করা হচ্ছে রেলের যাত্রীদের নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার জন্য। হাসানপুরে দুর্ঘটনার বিষয়ে আজ কামাল নামের এক ব্যক্তি ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কয়েকটা ছেলের ফিসপ্লেট খোলার কথা বলেছেন, রেল লাইনের দুর্বল স্লিপারের কথা এসেছে, রেললাইন মেন্টেইনেন্সর দুর্বলতার কথা অনেকে বলেছেন, এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। এ সকল দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য আমরা সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। রেলপথ অনেক দীর্ঘ পথ, রেলের কর্মী, আরএনবি, রেল পুলিশ, রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দ্বারা সার্বিক নিরাপত্তা সম্ভব নয়। দীর্ঘ এ পথের নিরাপত্তার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন, ইউনিয়ন পর্যায়ে থেকে শুরু করে ইউএনও, ডিসিসহ সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা দরকার। আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে পারব।
অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, সদস্য গাজী শফিকুর রহমান এমপি, সদস্য নুরুন নাহার এমপি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সর্দার সাহাদাত আলী, মহাব্যবস্থাপক পূর্বাঞ্চল নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।