বাসস
  ১১ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৫

জয়পুরহাটে ৩১৭টি স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাট, ১১ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস) : মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জামাত আজ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে জেলার ৩১৭টি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।     
ধর্ম মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জয়পুরহাটের বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্ম প্রাণ মুসল্লিরা। ভোর রাত থেকে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছে জয়পুরহাটে। কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ও কালেক্টরেট চত্বরে নবনির্মিত মডেল মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্টিত হয়। জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহে নামাজে ঈমামতি করেন সিদ্দিকিয়া মডেল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মওলানা আব্দুল মতিন। এখানে জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজীসহ জেলার বিশিষ্ট জন ও সরকারি উর্ধবতন কর্মকর্তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন। জয়পুরহাট চিনিকল জামে মসজিদে বরাবরের মতো সকাল ৭টা ও ৮ টায় দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া  জয়পুরহাট সরকারি কলেজ মাঠ, কাশিয়াবাড়ী  ঈদগাহে , তালীমূল ইসলাম একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ,পুলিশ লাইনস মাঠে, খনজনপুর খানকা শরীফ মসজিদ মাঠে, রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় আহলে হাদিস মসজিদ মাঠে , তেঁতুলতলী , হাতিল বুলুপাড়া ও করিমনগর লালবাজার ঈদগাহসহ জেলার পাঁচ উপজেলাতে মোট ৩১৭ টি মসজিদ ও ঈদগাহে এবার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উৎসব উদযাপনের জন্য স্থানিয় জেলা প্রশাসন বেশ কিছু  নির্দেশনা প্রদান করে । এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সুর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভবনে সঠিক মাফ ও নিয়মে জাতীয় পতাকা উত্তেলন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে  ঈদ জামাত আয়োজন, পটকা ও আতশবাজি বন্ধ, সরকারি শিশু পরিবার, এতিম খানা, জেলখানা ও হাসপাতালে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করার ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়াও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে  ঈদের দিন ও পরবর্তী সময়ে তরুণদের বেপরোয়াভাবে মোটর সাইকেল চলাচল রোধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জেলায় সুষ্ঠুভাবে ঈদ উল ফিতর উদযাপনের জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসাবে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকের পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে  বলে জানান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম। র‌্যাব সদস্যদের পক্ষ থেকেও শহরের গুরুত্বপুর্ন ঈদগাহগুলোতে সার্বক্ষণিক আইনশৃংখলা তদারকি করা হয়। জেলার পাঁচ উপজেলাতেও  প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় প্রশাসনের তত্বাবধানে। ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে জয়পুরহাটে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।