বাসস
  ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৬

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাহাড়ে উন্নয়নের ধারা ও শান্তি-সম্প্রীতি বজায় থাকবে : কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস) : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাহাড়ে উন্নয়নের ধারা ও শান্তি-সম্প্রীতি বজায় থাকবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন সকল ভাষাভাষী ও সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একই ছাতার নিচে সম্প্রীতির সাথে বসবাস করবেন। 
তিনি বলেন, তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে,তার প্রমাণ পার্বত্য চট্টগ্রাম। 
আজ মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি চিং হ্লা মং মারি স্টেডিয়ামে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা মাসস কর্তৃক আয়োজিত সাংগ্রাই জলোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের মতো আগামীতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের ধারা এবং শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকবে।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সকল সম্প্রদায়ের উপস্থিতিতে আজকের এই জল উৎসব অনুষ্ঠান প্রমাণ করে আমরা শান্তি চাই, সম্প্রীতি ও ঐক্য চাই। সেটাই আজকে প্রমাণ হয়েছে। 
তিনি বলেন, তাই দেশের কল্যাণে যা যা করা প্রয়োজন সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে সেসব কাজ করার জন্য এগিয়ে আসবেন। 
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মারমা সংস্কৃতি সংস্থার(মাসস) সভাপতি অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মারমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জল উৎসবের উদ্বোধন করেন  পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার। 
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো: আনোয়ার লতিফ খান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ প্রমুখ।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীরা বৈসাবী উৎসবকে ঘিরে যে সব অনুষ্ঠান করে থাকে তা সকলের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যবোধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটি চিং হ্লা মং মারি স্টেডিয়ামে জলউৎসবের মধ্য দিয়েই বৈসাবী উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও পুরো এপ্রিল মাস জুড়েই পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় চলবে বৈসাবীর আনন্দ আয়োজন।