শিরোনাম
ঢাকা, ৬ মে, ২০২৪ (বাসস) : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে প্রায় ৭০ শতাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যবসায়ী এবং তাদের মধ্যে ৯৩ জনের অস্থাবর ও তরল সম্পদ রয়েছে, যার মূল্য এক কোটি টাকারও বেশি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আজ তার ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ১৪৪টি উপজেলায় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানায়।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ১৭ জনের ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছয়জনের ১ কোটি টাকার বেশি অস্থাবর ও তরল সম্পদ রয়েছে। উভয়ের ক্ষেত্রেই আগের নির্বাচনের তুলনায় এই সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে।
টিআইবির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৬৯.৮৬ শতাংশ তাদের পেশাকে ব্যবসা হিসেবে দেখিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১.১৯ শতাংশ কৃষিকাজকে তাদের পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে ৬.৩২ শতাংশ আইনজীবী এবং ৪.১৫ শতাংশ শিক্ষকতা পেশার সাথে সংযুক্ত রয়েছেন।
একইভাবে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের প্রায় ৬৯.৫৯ শতাংশ তাদের পেশাকে ব্যবসা হিসেবে দেখিয়েছেন।
টিআইবির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৫২.২২ শতাংশ পেশা হিসেবে গৃহিণীকে দেখিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪.৩৭ শতাংশ তাদের পেশাকে ব্যবসা হিসেবে দেখিয়েছেন। পরবর্তী অবস্থানে রয়েছেন ৫.১ শতাংশ সমাজকর্মী বা সংগঠক, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন ৪.৮৭ শতাংশ শিক্ষক ও ৩.৪৮ শতাংশ কৃষক।