বাসস
  ২২ জুন ২০২৪, ২১:৫১

ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রাপ্যতায় একযোগে কাজ করার আহ্বান বিমসটেকের

ঢাকা, ২২ জুন, ২০২৪ (বাসস) : গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট (জিডিসি) সংক্রান্ত আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় বক্তারা আজ বিমসটেক সদস্য দেশগুলিকে নিজ দেশের ও দেশগুলোর মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রাপ্তিতে বৈষম্য নিরসনে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ এবং বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) সচিবালয় রাজধানীর একটি হোটেলে জিডিসি বিষয়ে দুই দিনের আঞ্চলিক পরামর্শের আয়োজন করে।   
উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্পের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জিডিসি’র গুরুত্ব তুলে ধরেন।  তিনি কাউকে পেছনে না ফেলে, অন্তর্ভুক্তি ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে ডিজিটাল অবকাঠামো ও অর্থনীতিতে অধিকতর প্রবেশাধিকারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
এই সভাটির লক্ষ্য হলো- নিউইয়র্কে জাতিসংঘে জিডিসি’তে চলমান আলোচনায় একটি ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বরকে সোচ্চার করে অভিন্ন উদ্দেশ্য ও প্রাসঙ্গিক অগ্রাধিকারগুলি চিহ্নিত ও প্রচার করা। সভায় বিমসটেক সদস্য দেশগুলির প্রাসঙ্গিক সরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি ইউএন-ইএসসিএপি ও বিমসটেক সচিবালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।
বিমসটেক মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডে একটি উন্মুক্ত, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপ প্রচারের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি জিডিসি’কে উদীয়মান প্রযুক্তি, ডিজিটাল অর্থনীতি ও সাইবার নিরাপত্তা ইত্যাদি মোকাবেলায় দেশগুলি যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হয়, তা আরও ভালভাবে বুঝতে পরস্পরকে সহায়তা করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব ও প্রযুক্তি বিষয়ক তার দূতকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের ভবিষ্যত শীর্ষ সম্মেলনে জিডিসি’র ধারণা চালু করার জন্য এবং এটি গ্রহণের বিষয়ে কাজ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (সার্ক ও বিমসটেক) আব্দুল মোতালেব সরকার বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য জিডিসি’র মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থের কিছু ক্ষেত্র তুলে ধরেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এ পর্যন্ত গ্লোবাল কমপ্যাক্টে অন্তর্ভুক্ত করার যে পরামর্শগুলো দিয়েছে, সে বিষয়ও তিনি উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল আশা প্রকাশ করেন, এই সভা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যত নিশ্চিত করার উপায় খুঁজে বের করবে এবং বেসরকারি খাত ও অন্যান্য অংশীজনদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আইসিটি শিল্পে উদ্ভাবন চালাবে।
দুই দিনের এ সভায় পাঁচটি প্রযুক্তিগত অধিবেশন রয়েছে।