বাসস
  ০১ জুলাই ২০২৪, ২১:০৪

সংসদে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল, ২০২৪ পাস

সংসদ ভবন, ১ জুলাই, ২০২৪ (বাসস) : ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে আর্থিকভাবে শক্তিশালীকরণ, সরকার প্রদত্ত বরাদ্দের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর উপায় নির্ধারণ এবং ইউনিয়ন পরিষদ আইনকে আরও যুগোপযোগী ও সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল, ২০২৪ আজ সংসদে পাস করা হয়েছে। 
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আজ বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব কারলে তা কন্ঠভোটে পাস হয়। 
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন।
বিলে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা দায়িত্ব পালনকালীন সরকারের নির্ধারিত সম্মানী প্রাপ্ত হবেন। এর মাধ্যমে কোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যদের বরখাস্তকালীন ভাতা প্রদানের বিষয়ে কোন আইনগত জটিলতা থাকবে না। 
বিলে বলা হয়েছে, কোন এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণা কিংবা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলী সম্পাদনের লক্ষ্যে সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবেন এবং এই আইনের বিধান মোতাবেক নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও নানা মামলা-মোকদ্দমা করে নির্বাচন ঠেকানোর বা স্থগিত রাখার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তবে একবারের জন্য শুধু প্রশাসক নিয়োগ হবেন এবং ১২০ দিনের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কোনো দৈবদুর্বিপাকের কারণে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে সরকার ওই মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়াতে পারবে। অতিমারি, মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার এই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে। 
বিলে বলা হয়েছে, কোন চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন সদস্য বা প্রশাসক যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তরে ব্যর্থ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। বিদ্যমান আইনে এটি ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদটির নাম হবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথ, গোলাম সারোয়ার টুকু, এস এম ব্রাহানী সুলতান মামুদ ও হামিদুল হক খন্দকার।