বাসস
  ১১ জুলাই ২০২৪, ১৯:১৫

বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনীবাসীদের উচ্ছেদ অভিযানের বৈধতা প্রশ্নে রুল নিস্পত্তির নির্দেশ

ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০২৪ (বাসস): রাজধানীর বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনীবাসীদের উচ্ছেদ অভিযানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আনা রিটে জারি করা রুল নিস্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টর আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ চলমান রেখে আজ আদেশ দেন। সেই সাথে আগামী দুই মাসের মধ্যে এসংক্রান্ত রুল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চকে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
আদালতে হরিজনদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন এডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার অনিক আর হক, আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মনজ কান্তি ভৌমিক ও উৎপল বিশ্বাস। আর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মুরাদ রেজা। ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন আদালতের আদেশের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, রাজধানীর বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনীবাসীদের উচ্ছেদ অভিযানের ওপর উচ্চ আদালতের স্থিতাবস্তা খাকার পরও, গতকাল সিটি কর্পোরেশন সেখানে উচ্ছেদ অভিযানের প্রচেষ্টা চালায়। আপাতত বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনীবাসীরা সেখানে থাকবেন। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দুই মাসের মধ্যে নিস্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
এই হরিজন কলোনীতে উচ্ছেদ অভিযানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিটের শুনানি শেষে গত ১৩ জুন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ ১ মাসের স্ট্যাটাসকোর (যেমন আছে তেমন থাকার) আদেশ দেন। সেই সাথে বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা না করে, রাজধানীর বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনীবাসীদের উচ্ছেদ না করতে নির্দেশ দেন।
ব্রিটিশ আমলে ভারতের তেলেগু থেকে আসা এই হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন শতাধিক বছর ধরে এই কলোনিতে বসবাস করে আসছেন। মিরনজিল্লার সুইপার কলোনিতে বর্তমানে প্রায় চার হাজার লোক বাস করেন। এই কলোনির একটি অংশে আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মাণ করতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এ জন্য সেখানে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়েছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। তারা হরিজন সম্প্রদায়ের তীব্র আপত্তি ও বাঁধার মুখে পড়েন। পরে তারা একটি দেয়াল ও কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে চলে যান।