বাসস
  ১৪ জুলাই ২০২৪, ১১:১৪

দক্ষিণাঞ্চলে ছয় লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ

॥ শুভব্রত দত্ত ॥
বরিশাল, ১৪ জুলাই, ২০২৪ (বাসস) : বৃহত্তর দক্ষিণাঞ্চলে ছয় লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ ও বরিশাল জোন’র সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফরিদপুর-মাদারীপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত আরামদায়ক প্রশস্ত সড়ক যোগাযোগ স্থাপন, ছয় লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ, ভূমি অধিগ্রহণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ ও বরিশাল জোন’র সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ২০১৫ সালের দর অনুযায়ী চার লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রাথমিক ভাবে প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়ে ছিল প্রায় ১৮’শ কোটি টাকা। বরিশাল জেলায় প্রায় ২’শ একর, পটুয়াখালী ৯০ একরসহ সব কয়টি জেলায় ভূমি অধিগ্রহণের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। পরবর্তীকালে বাস্তবতার আলোকে মহানগরীর পরিবর্তে প্রায় ১৬ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভুত হওয়ায় সে ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বরগুনা জেলার আমতলী ও গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী এলাকা সংযোজন করা হয়েছে। যে কারণে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি করে নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৫ হাজার ৭’শ কোটি টাকা। জাতীয় মহাসড়ক ছয় লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ, ভূমি অধিগ্রহণে এ প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে আর্থিক সহায়তায় করবেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এর আগ্রহেই এ মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ১৮শ’ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত ভূমি অধিগ্রহণে একটি প্রকল্প একনেক-এর অনুমোদন লাভ করে। তবে প্রকল্প-প্রস্তাবনানুযায়ী ২০২০-এর জুনে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করার কথা থাকলেও তা চলতি বছরের জুনেও সম্ভব হয়নি। মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করণের লক্ষ্যে বিদ্যমান সড়কের দুপাশে আরো প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে মূল প্রকল্পের আগে ঐ ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল চন্দ্র মুখার্জী ও কে.এস.এ মহিউদ্দিন মানিক (বীর প্রতিক) বলেন, বৃহত্তর দক্ষিণাঞ্চলে ছয় লেন বিশিষ্ট সড়কটির নির্মাণ কাজ যত দ্রুত শেষ হবে তত দ্রুত ‘পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধুণএক্সপ্রেসওয়ে’র সুফল ভোগ করবে দক্ষিণাাঞ্চলবাসি। তাছাড়া বাণিজ্যিক ভাবেও সফলতা লাভ করবে এ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (বরিশাল সার্কেল) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ খান, প্রকল্প অনুমোদন ও বাইপাস সড়কের নকশাসহ সব কিছু ঠিক থাকলে আশা রাখি আগামী ২ বছরের মধ্যে এ  প্রকল্পটি সম্পন্ন করা যাবে।
প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ খান আরো বলেন, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, ডিজিটাল, টেকসই, নিরাপদ, সুশৃংখল, পরিবেশ বান্ধব আধুনিক সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই সড়ক ও জনপথ বিভাগের লক্ষ্য।