বাসস
  ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৫৮

সুপ্রিম কোর্ট বার অন্তর্বর্তী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার খোকন, সম্পাদক ব্যারিস্টার কাজল

ঢাকা, ১৮ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস): সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) অন্তর্বর্তী কার্যনিবাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বার এর বর্তমান সভাপতি ব্যারিষ্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অন্তর্বর্তী কার্যনিবাহী কমিটির সভাপতি এবং সমিতির ২০২৪-২০২৫ বর্ষের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস (কাজল) কে সম্পাদক করা হয়েছে। 
ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস (কাজল) এর আগে টানা তিনবার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তৃতীয় বার তিনি ভোটে এগিয়ে থাকলেও ভোট গণনায় জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে জোরপূর্বক পরাজিত করা হয়। আওয়ামী সমর্থিত একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে। চলতি বছরও সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে জোরপূর্বক ফলাফল ঘোষণার ঘটনা ঘটে। পরে অধিকাংশ প্রার্থীর ভোট গননা বর্জনের মধ্য দিয়ে ফল ঘোষিত হয়। চলতি বছর বার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি হয়রানিমূলক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় গ্রেফতার করে ব্যারিস্টার কাজলকে কারাবন্দী করে রাখা হয়।
ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট বার এর টানা ৭ বার নির্বাচিত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আজ রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে সমিতির সাধারণ সদস্যদের এক তলবি সভায় বার এর অন্তর্বর্তী কার্যনিবাহী কমিটি ঘোষণা করা হলো।   
সমিতির অন্তর্বর্তী কার্যনিবাহী কমিটির সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মঞ্জু ও সরকার তাহমিনা বেগম সন্ধা। ট্রেজারার পদে রেজাউল করিম রেজা। সহ-সম্পাদক পদে মো: মাহফুজুর রহমান (মিলন) ও মোঃ আবদুল করিম। এবং সদস্য পদে সৈয়দ ফজলে এলাহি অভি,  এবি এম ইব্রাহিম খলিল, ফাতেমা আক্তার, মো: শফিকুল ইসলাম, মোঃ আশিকুজ্জামান নজরুল, মহি উদ্দিন মোঃ হানিফ এবং রাসেল আহম্মেদকে নির্বাচন করা হয়েছে। তলবি সভায় নির্বাচিত সবাই সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন।
সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদীর সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত তলবি সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, ব্যাপক জালিয়াতি কারচুপির, গ্রেফতারের আতঙ্ক দেখিয়ে প্রার্থীদের কেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখে, ইলেকশন পুনঃগণনার আবেদন বার বার করা হয়, ভোট গণনার নাটক সাজিয়ে সকল প্রার্থীদের নিরোপেক্ষ ইলেকশন সাব-কমিটির অনুপস্থিতিতে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সেহেতু উক্ত কমিটি অবিলম্বে দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং অত্র সমিতির ২০২৪-২৫ এর কার্যনির্বাহী কমিটি হিসিবে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
গত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সামিতির নির্বাচনের ভোট গণনার বিষয়টি পুরোপুরি ত্রুটিপূর্ণ, জালিয়াতিপূর্ণ এবং জোরপূর্বক ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় যা অত্যন্ত অনাকাঙ্খিত এবং সুপ্রিমকোর্ট এর ইতিহাসকে কলংকিত করে। উক্ত ঘটনার সাথে পুরোপুরি জড়িত ছিলো তৎকালিন সরকার দলীয় সমর্থিত বেশ কিছু আইনজীবি ও এটর্নি জেনারেল অফিসের আইন কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রতীয়মান হয় যে সমিতির নির্বাচনে প্রকৃত ভোট গণনা হয় নাই। যেহেতু ভোট কারচুপির মাধ্যমে সম্পাদক সহ কমিটির ১০ জন সদস্য দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত এবং সমিতির কোন কাজে অংশ গ্রহণ করছে না, এছাড়া সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হক সরাসরি কোটা আন্দোলনের বিপক্ষের আইনজীবী  এবং বির্তকিত বেক্সীমকো গ্রুপের পরিচালক এবং অন্যান্য ৯ জন সদস্য ভোট কারচুপির মাধ্যমে বিতর্কিতভাবে নির্বাচিত। যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট  বার এর স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখার জন্য ও ভবিষ্যতে সুপ্রিম কোর্ট বারের অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের জন্য পূর্ণাঙ্গ ও কার্যনির্বাহী কমিটির উপস্থিতি প্রয়োজন বলে আজ তলবি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়।