শিরোনাম
হবিগঞ্জ, ২১ আগস্ট ২০২৪ (বাসস) : জেলায় আজ খোয়াই, কুশিয়ারা ও কালনী-কুশিয়ারাসহ সকল নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার বিকেল ৩ টায় প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলার খোয়াই নদীর পানি চুনারুঘাটের বাল্লা সীমান্তে বিপদ সীমার দুইশ’ সেন্টিমিটার, শায়েস্তাগঞ্জে ১২৩ সেন্টিমিটার এবং হবিগঞ্জ শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদী শেরপুর পয়েন্টে বিপদ সীমার তিন সেন্টিমিটার এবং মার্কুলী পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কালনী-কুশিয়ারা নদী আজমিরীগঞ্জে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, বৃষ্টি ও নদীর পানি বৃদ্ধির কারনে হবিগঞ্জ শহরের কিছু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। টানা বর্ষনে শহরের প্রধান সড়কের বেশ কিছু এলাকা ডুবে গেছে। সার্কিট হাউজসহ শহরের অনন্তপুর, মাহমুদাবাদ, শ্যামলীসহ অনেক এলাকার লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চুনারুঘাট উপজেলায় অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়তে থাকলে বড়ধরনের বন্যার আশংকা করছেন জেলাবাসী।
হবিগঞ্জে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, বৃষ্টির পাশাপাশি ভারত থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে জেলার খোয়াই নদীর পানি চুনারুঘাটের বাল্লা সীমান্তে বিপদ সীমার দুইশ’ সেন্টিমিটার, শায়েস্তাগঞ্জে ১২৩ সেন্টিমিটার এবং হবিগঞ্জ শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদী শেরপুর পয়েন্টে বিপদ সীমার তিন সেন্টিমিটার এবং মার্কুলী পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কালনী-কুশিয়ারা নদী আজমিরীগঞ্জে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি রয়েছে।খোয়াই নদীর বাঁধ মেরামতের জন্য দুইহাজার জিও এবং ছয়হাজার সিনথেটিক বস্তা মজুদ করা হয়েছে।