শিরোনাম
রাঙ্গামাটি, ২২ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস): টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটির ২০টি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনাসহ জেলার সদর উপজেলাধীন সাপছড়ি ইউনিয়ন, মানিকছড়ি, বাঘাইছড়ি, কাউখালী উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে নতুন করে কয়েকটি এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
জেলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনাসহ বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ২৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্র। এর মধ্যে কাউখালী উপজেলার ইছামতি ও কাউখালী খালের পানি বেড়ে ডুবে গেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০টি ঘর। তবে এতে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বেশ কিছু জায়গায় পাহাড়ধসের ঘটনায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল কয়েক ঘন্টা।
পরে সড়ক বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যান চলাচল সচল করে। তবে মহালছড়ি এলাকায় সড়কে পানি থাকায় রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি আন্তজেলা যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বাঘাইছড়ি উপজেলাতেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভা প্রশাসক শিরিন আক্তার বাসসকে জানান, ‘উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এখন পর্যন্ত ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে খোলা হয়েছে এবং আশ্রয় কেন্দ্র প্রায় ১ হাজার ৬৫৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
পাহাড়ধসের ঝুঁকি এড়াতে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসসহ যৌথ সমন্বয় টিমের নেতৃত্বে রাঙ্গামাটি শহরের শিমুলতলী, রূপনগরসহ বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শনসহ মাইকিং করে স্থানীয়দেন আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
জেলার সার্বিক দুর্যোগ ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বাসসকে জানান, জেলায় ছোট-বড় কয়েকটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটলেও কোথাও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে রাঙ্গামাটি সদরে পাহাড়ধসের ঝুঁকি থাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার শহর এলাকায় ৭৫টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ রাঙ্গামাটি জেলা উপজেলায় সর্বমোট ২৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রযেছে বলে জানান তিনি।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।