বাসস
  ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১৪:২৮
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১৮:৩৮

ফেনীর দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলার কিছু লোকালয়ে বন্যার পানি রয়েছে

ফেনী, ২৮ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস) : জেলার দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলার কিছু লোকালয়ে এখনো বন্যার পানি রয়েছে।তবে জেলার বেশিরভাগএলাকার বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। আজ বুধবার সকালে জেলা প্রশাসন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, অন্যান্য উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে, পানি কমলেও আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কে এখনো স্বাভাবিক হয়নি যান চলাচল। এতে জীবনের ঝুঁকি থাকলেও তা উপেক্ষা করে ট্রাক-পিকআপে করে গন্তব্যে ছুটছেন মানুষজন। ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও সদর হাসপাতাল মোড় এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্যায় প্লাবিত ফেনী-পরশুরাম ও ফেনী-ছাগলনাইয়া আঞ্চলিক সড়কের কিছু অংশে এখনো পানি নামেনি। রাস্তার উপরের অংশ পানির তোড়ে ভেসে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। এতে সড়কগুলোতে ছোট যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গ্যাস (সিএনজি) ও বিদ্যুৎ না থাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ রয়েছে।
ফেনীর আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কের ক্ষতি জানতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, এখনো ক্ষতি নিরূপণ সম্ভব হয়নি।
ট্রাকে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরশুরাম থেকে ফেনীর উদ্দেশ্যে  যাচ্ছেন পঞ্চাশোর্ধ আবু তাহের। তিনি বলেন, রাস্তায় ট্রাক-ট্রলি ছাড়া আর কোনো যানবাহন নেই। জরুরি প্রয়োজনে শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছি। ঝুঁকি থাকলেও বিকল্প নেই।
ফেনী সদর হাসপাতাল মোড় এলাকায় শান্ত নামে  পিকআপে ওঠা একজন যাত্রী বলেন, বন্যার শুরু থেকে পরিবারের খোঁজ নেই। নিয়মিত পরিবহন না থাকায় ট্রাক-পিকআপই ভরসা এখন।
রাজ্জাক নামে এক ট্রাক চালক বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ, সড়কের অনেক স্থানে পানি থাকায় আমরা বড় গাড়িতে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয় ফেনী। জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, গত দেড় মাসে ফেনীতে তৃতীয় দফায় বন্যায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।