বাসস
  ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৮:৪৮

দুটি মামলায় খালাস পেলেন মির্জা আব্বাস

ঢাকা, ২৯ অগাস্ট, ২০২৪ (বাসস) : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
ঢাকার পৃথক দুটি বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আজ বৃহস্পতিবার তাকে খালাস প্রদান করেন।
মামলা দুটির মধ্যে একটি হচ্ছে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলা এবং অপরটি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা।
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম করার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় মির্জা আব্বাসকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এ আদেশ দেন। 
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ মামলা প্রত্যাহার করার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত বিচারাধীন মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করে খালাস প্রদান করেন। এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগর লবী ও সরকারি কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম। 
প্লট বরাদ্দের অনিয়মের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালে পূর্তমন্ত্রী থাকাকালে মির্জা আব্বাস প্যাসিফিক কেমিক্যালস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ১৯ দশমিক ৪৪ কাঠা জমি বরাদ্দ দেন। দুদকের অভিযোগ করেছিল যে, বিএনপির সাবেক এমপি আলী আসগর লবীর সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলামের যোগসাজশে অনিয়মের মাধ্যমে এ প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
এ অভিযোগে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন শাহবাগ থানায় ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই একটি মামলা করেন। পরের বছর ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এদিকে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা আরেকটি মামলাতেও আজ খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মাসুদ পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন। মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করা হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. শফিউল আলম।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। আদালত ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে ২৪ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।