বাসস
  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৭
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৭

বাংলাদেশে সার্কুলারিটি টেক্সটাইলে বিনিয়োগে আগ্রহী নেদারল্যান্ডস

ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বাংলাদেশে সার্কুলারিটি টেক্সটাইলে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে নেদারল্যান্ডস।
ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত মি. ইরমা ভ্যান ডিউরেন আজ মঙ্গলবার শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে রাজধানীর মতিঝিলস্থ শিল্প ভবনে (শিল্প মন্ত্রণালয়) তাঁর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তাৎক্ষণিক এক বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।   
রাষ্ট্রদূত জানান, নেদারল্যান্ডস টেক্সটাইল খাতের যন্ত্রপাতি, ঔষধশিল্প, দুগ্ধজাত পণ্য, রাসায়নিক দ্রব্যাদি বাংলাদেশে রপ্তানি করে। পণ্য, সরঞ্জাম ও পরিষেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য বাংলাদেশের রয়েছে বিশাল বাজার। এ সময় তিনি সার্কুলারিটি টেক্সটাইলে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এ জন্য একটি বিশেষায়িত দল গঠন করারও পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং আইসিটি খাত ক্রমশঃ আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত এ সুযোগকে কাজে লাগানোর বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।  
বৈঠকে, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জানান, নেদারল্যান্ডস দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডসের একটি দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ ও সুরক্ষা চুক্তি ১৯৯৪ সালের ১ নভেম্বর স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উচ্চতর অবস্থায় উত্তরণ করা সম্ভব বলেও তিনি মনে করেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং অতিরিক্ত সচিব মো. সলিম উল্লাহসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা  এসময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাষ্ট্রদূত শিল্প ভবনে পৌঁছালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।
নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশি টেক্সটাইল এবং পোশাকের অন্যতম প্রধান ইউরোপীয় আমদানিকারক রাষ্ট্র একথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত জানান, ২০২৩ সালে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে প্রায় ৬২ শতাংশ তৈরি পোশাক নেদারল্যান্ডসে রপ্তানি করে। নেদারল্যান্ডস ধারাবাহিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ইইউতে তৈরি পোশাক রপ্তানির মোট মূল্য ছিল প্রায় ১৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশ একটি উন্নত সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে পোশাক ব্যবসার একটি সম্ভাব্য আঞ্চলিক কেন্দ্র (হাব) হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব চামড়া ও চামড়াজাতপণ্য, জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াকরণ, এসএমই, সিরামিক, সার, সিমেন্ট, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ এবং জলবায়ু সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এবং অন্যান্য উপযুক্ত সেক্টরে নেদারল্যান্ডসকে আরও বিনিয়োগের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।