বাসস
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৩২
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:১৫

প্রধান বিচারপতির সাথে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ মামলার অন্যতম পিটিশনার মাসদার হোসেনের সাক্ষাৎ 

ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস): প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সাথে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত বহুল আলোচিত মামলার অন্যতম পিটিশনার সাবেক জেলা জজ মাসদার হোসেন সাক্ষাৎ করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বাসসকে আজ এ কথা জানান। 
আজ এ সংক্রান্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় দেয়া আপিল বিভাগে রায়ের মাধ্যমে দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকগণকে সিভিল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে গণ্য না করে একটি পৃথক সার্ভিস হিসেবে বিবেচনা করে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের দ্বার উন্মোচিত হয়। বিখ্যাত ওই মামলার অন্যতম আইনজীবী ছিলেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের পিতা বরেণ্য আইনজীবী প্রয়াত ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ। 
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মাসদার হোসেন দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকগণের পক্ষে মামলা পরিচালনায় ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ এর অবদান সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন। 
মাসদার হোসেন উল্লেখ করেন যে, সম্পূর্ণ স্বপ্রণোদিতভাবে বিনা পারিশ্রমিকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণে মামলাটি পরিচালনা করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি যে  অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন সেই অবদানকে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এর সদস্যগণ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। বিশেষ করে, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের মাধ্যমে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ব্লু-প্রিন্ট প্রস্তুত থাকার পরেও তৎকালীন রাজনৈতিক সরকারের সদিচ্ছার অভাবে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ কার্যকর হয়নি। ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদও তার জীবদ্দশায় রায়ের বাস্তবায়ন দেখে যেতে চেয়েছিলেন। বিচার বিভাগ পৃথকীরণের রায় বাস্তবায়নে ২১ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির  অভিভাষণে দেয়া রোডম্যাপে রূপরেখা ফুটে উঠেছে বলে উল্লেখ করেন মাসদার হোসেন। মাসদার হোসেন প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাঁর (প্রধান বিচারপতি) হাত ধরেই বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ চূড়ান্তরূপে বাস্তবায়ন হবে।
মাসদার হোসেন মামলার রায় ১৯৯৯ সালে ২ ডিসেম্বর ঘোষিত হলেও পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারসমূহ উক্ত রায় বাস্তবায়ন করেনি। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের লক্ষ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন এবং জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে পৃথক জুডিসিয়াল সার্ভিস গঠন করে।  
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ২১ সেপ্টেম্বর দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতি অভিভাষণ প্রদানকালে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পরিপূর্ণ রূপরেখা তুলে ধরেন।