শিরোনাম
দিনাজপুর, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ রাহুল স্মরণে আয়োজিত এক শোক সভায় বক্তারা বলেছেন, দিনাজপুর থেকে একজন তরুণ তার বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত করেছেন, তার এ আত্মত্যাগের জন্য দিনাজপুরবাসী গর্বিত।
আজ জেলার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) এর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা। ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. এমদাদুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, শহিদ রাহুলের মা মোছা. ফরিদা বেগম ও বড় ভাই মো. আল আমিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, হল সুপার, বিভিন্ন শাখার পরিচালকসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এ আলোচনায় অংশ নেন। ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক ড. নিজাম উদ্দিন শোকসভা সঞ্চালনা করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা বলেন, জুলাই-আগস্ট দু'মাসের বিপ্লবে এমন কিছু ঘটনা ঘটে গেছে, যা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের বুকে স্পন্দন যুগিয়েছে এই আন্দোলন। এই আন্দোলনে আবু সাঈদ, মুগ্ধ, রাহুলসহ প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ শহিদ হয়েছেন, আমি তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং যারা আহত হয়েছে তাদের আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।
তিনি বলেন, তাদের এ আত্মত্যাগের জন্যই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সফল হয়েছে। তিনি শহিদ রাহুলের মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি ভবিষ্যতেও রাহুলের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহিদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণসহ রাহুলের পরিবারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রাহুলের বড় ভাই মো. আল আমিন বলেন, “রাহুলদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি সুন্দর-সুশৃঙ্খল দেশ পেয়েছি। সবাই মিলেই এই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’’
তিনি বলেন, সবাই যে উদ্দেশ্যে এক সাথে লড়েছি, সামনেও যেন আমাদের মধ্যে এই ঐক্য অটুট থাকে, সবার কাছে সেই আহ্বান জানাই।
আলোচনা সভা শেষে উপাচার্য শহিদ রাহুলের পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।