শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালীতে চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা বজায়ে রাখার ওপড় গুরুত্বারোপ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্ঠা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আযম (বীর প্রতিক)।
আজ শুক্রবার বিকেলে ‘মাসিক চাটগাঁ ডাইজেস্ট’ এর আয়োজনে ‘সম্ভাবনার বাঁশখালী উপজেলা’ শীর্ষক বিশেষ সংখ্যার প্রকাশনা উৎসব ও বিশিষ্ট জনের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্ঠা এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক কবি আবুল মোমেন ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।
উপদেষ্ঠা ফারুক-ই-আযম বলেন, অপার সম্ভাবনাময় উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালীকে অর্থনৈতিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দের্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্যসহ সবকিছু সংরক্ষণ করতে হবে। যুগে যুগে বাঁশখালীতে বহু গুণিব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছেন। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাঁশখালী গুণিজনে সমৃদ্ধ। সমৃদ্ধ বাঁশখালী গঠনে সেখানে যে সকল গুণিজন আছেন, তাদেরকেও এইকাজে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, চাটগাঁ ডাইজেস্টের সম্পাদক সাংবাদিক সিরাজুল করিম মানিক দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে চট্টগ্রাম এবং বাঁশখালীর সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, তাতে তিনি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। তিনি বাঁশখালীকে পুরো চট্টগ্রাম তথা সারাদেশে উপস্থাপন করে একটি সমৃদ্ধ উপজেলায় রূপান্তর করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সেটা যেন সফল হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভুমিকা রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক কবি আবুল মোমেন বলেন, বিশ্বায়নের যুগে আমরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে দিন পাড় করছি। এই চ্যালেঞ্জটা আমাদের গ্রহণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত আমাদের যে ইতিহাস-ঐতিহ্যের অবদান রয়েছে, সেগুলো চর্চার মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের শিশুদের যে চ্যালেঞ্জ, সেটা তাদের গ্রহন করতে হবে। তারা যাতে বড় হয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সংকট মোকাবেলা করতে পারে সেজন্য আমাদের অভিভাবকদের ভুমিকা পালন করতে পারে।
দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত আমাদের উপভোগ করতে হবে। আগামীকাল যে বেঁচে থাকব, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার জন্য আজকে এখানে বসে আমরা কথা বলতে পারছি। আর ২০২৪ এর স্বাধীনতার জন্য স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি।
ঢাকা শহরের পত্রিকায় ক্রোড়পত্র ছাপা হয়, কিন্তু আমাদের মফস্বলে তা দেয়া হয় না, এটা কি বৈষম্য নয় ? এমন প্রশ্ন রেখে দৈনিক আজাদী সম্পাদক বলেন, ঢাকার কাগজ জাতীয় পত্রিকা হলে, আমাদের মফস্বলেরটা কি বিজাতীয়। এই বিষয়ে সরকারকে সুদৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।
মাসিক চাটগাঁ ডাইজেস্ট সম্পাদক সিরাজুল করিম মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. জয়নাব বেগম, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সিদ্দিক আলম চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০ জন বিশিষ্ট নাগরিককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।