শিরোনাম
রংপুর,২৬ ডিসেম্বর,২০২৪ (বাসস) : রংপুর-এলেঙ্গা মহাসড়কের ছয় লেনে উন্নীতকরণ কাজ আট বছরেও শেষ হয়নি। রংপুর থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত যেতে সময় লাগছে ছয় থেকে আট ঘণ্টা। রংপুরের শঠিবাড়ী, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জে জমি অধিগ্রহণসহ আইনি কিছু জটিলতার কারণে কাজ থমকে আছে। এতে জনদুভোর্গ চরমে পৌঁছেছে ।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাজ এগিয়ে চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর-হাটিকুমরুল-এলেঙ্গা মহাসড়ক ছয় লেন প্রকল্পটি ১৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ। এর কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। প্রথম দফায় কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের আগস্টে। সে সময় মূল প্রকল্পের ব্যয় ধরা ছিল ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। এর পরে ৪ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা বেড়ে তা ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। সর্বশেষ প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিল ১৮ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা। কিছু পরিবর্তন আনায় নতুন করে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ১৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। সর্বশেষ সময় বৃদ্ধি করে এ মহাসড়কের উন্নয়নকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর। ১৯০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১৫০ কিলোমিটার সড়কের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণসহ কিছু কাজের কারণে ৪০ কিলোমিটার ফোর লেন সম্পন্ন করতে কত সময় লাগবে সংশ্লিষ্টরা বলতে পারছেন না।
জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৪৬১ মিটার দৈর্ঘ্যরে ২৬টি সেতু, ৪১১ মিটারের একটি রেলওয়ে ওভারপাস ও ১১টি স্টিল ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে। সিরাজগঞ্জের ইপিজেড ও গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ীতে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলছে। সড়কটির রংপুরের অংশে বড়দরগাহ, রাউতপাড়া, শুকানচৌকি, লালদীঘি, জামতলা, সোনাকান্দর, বাসস্ট্যান্ড, আংরার ব্রিজ, উজিরপুর, মজিদপুর, খেদমতপুর, তুলারাম মজিদপুর, মাদারহাট ও ধাপেরহাট, মিঠাপুকুরে শঠিবাড়ী, দমদমা এলাকার ৭০ কিলোমিটার রয়েছে।
রংপুর অঞ্চলে সড়কটির নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) ফিরোজ আক্তার বাসস কে বলেন, শঠিবাড়ী, পলাশবাড়ীতে জমি অধিগ্রহণসহ কিছু জটিলতা রয়েছে। ফলে ওইসব স্থানে কাজ বন্ধ রয়েছে। গোবিন্দগঞ্জের জটিলতা মিটেছে। সেখানে কাজ চলছে। আশা করছি আগামী জুনের মধ্যেই এ মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।