লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা

বাসস
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৫০
নিষেধাজ্ঞার ২ মাস পর লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের জন্য জাল ও নৌকাসহ প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা। ছবি : বাসস

লক্ষ্মীপুর, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫(বাসস) : নিষেধাজ্ঞার ২ মাস পর লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা। তাই জাল ও নৌকাসহ সব ধরনের কাজ সেরে নিতে মাছঘাটগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে অভিযান সফল দাবি করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এবার মাছের উৎপাদন বাড়বে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ৫শ মে.টন। যা গত বছরের চেয়ে ৫ হাজার মে.টন বেশি।

জেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়. এ জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩ হাজার জেলে নিবন্ধিত রয়েছে। এসব জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। জাটকা সংরক্ষণও ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে  ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস নদীতে সকল ধরনের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এসময় ৩শতাধিক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্ধশতাধিক জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়। ১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।  নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ ৩০ এপ্রিল মধ্য রাতে। এরপর থেকে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। তাই মাছ শিকারের জন্য জেলেরা প্রস্তুুতি নিচ্ছে। জাল ও নৌকাসহ সব ধরনের কাজ সেরে নিতে ৩০টি মাছঘাটে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এবার লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এ সময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাত করণ ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ ছিল। এসময় প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি হারে ভিজি এফের চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত অনেক জেলে বরাদ্ধকৃত চাল না পাওয়ার অভিযোগ করেন।

জেলেরা জানান, প্রতিবছর নদীতে অভিযান চলে। জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্য এবারের অভিযান সফল হয়েছে।  সরকারের আইন মেনে নদীতে যায়নি এখনকার জেলেরা।  নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে ৩০ এপ্রিল মধ্যে রাতে। এরপর থেকে আবারও পুুুৃরোদমে নদীতে মাছ ধরা শুরু হবে। তাই নৌকা ও জালসহ অন্যান্য কাজ সেরে নিয়ে নদীতে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জাল-নৌকাসহ সকল কাজকর্ম সেরে নদীতে নামার যে প্রস্তুুতি সেটা পুরোপুরি নেয়া হয়েছে। আশা করি দীর্ঘদিন পর মাছ ধরতে নদীতে নামবো। প্রচুর মাছ পাওয়ার আশা করেন জেলেরা।

এবারের অভিযান সফল দাবি করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলছেন, গত বারের চেয়ে এবার মাছের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে। দুই মাসে নদীতে অভিযান হয়েছে প্রায় তিনশ। এসময় বেশ কয়েকজন জেলেকে জেল জরিমানা ও মামলা দায়ের করা হয়েছে। দশ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। ভবিষ্যতে তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন তিনি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ৫শ মে.টন। যা গত বছরের চেয়ে ৫ হাজার মে.টন বেশি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করেছে যুক্তরাষ্ট্র: হুথি
টোকিওর স্থানীয় নির্বাচন, ক্ষমতাসীন দলের জন্য বড় পরীক্ষা 
রাশিয়ার কুরস্ক এলাকা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে 
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ সৌদি আরবের
জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমিরে জামায়াতের বৈঠক অনুষ্ঠিত
ইসরায়েলের হামলায় 'আরও ভয়াবহ' জবাবের হুঁশিয়ারি ইরানের
ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর
বরিশালে কীর্তিনখোলা নদীর তীরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে এপিবিএন’র নার্সারি
পটিয়ায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে চালক নিহত
টাঙ্গাইলের একটি খাল দখল মুক্ত করলো প্রশাসন
১০