ঢাকা, ২৫ মে, ২০২৫ (বাসস) : কোরবানির পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ রোববার আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর হাট ও কাঁচা চামড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই বিক্রেতারা চামড়ার যেন ন্যায্য মূল্যটা পায়। আপনারা জানেন প্রতিবারই অনেক চামড়া নষ্ট হয় এবং জনগণ চামড়ার ন্যায্যমূল্য পায় না। চামড়ার ন্যায্যমূল্য কিন্তু গরিবের হক। চামড়াগুলো বিভিন্ন গরীব মানুষকে, এতিমখানায়, মাদ্রাসায় দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা এটার ন্যায্য মূল্য পান না। তারা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এরপর আমরা চেষ্টা করছিলাম হাসিলটা কমানো যায় কিনা। তাদের সঙ্গে আমরা বসে আলোচনা করে বলেছি ৫ শতাংশ হাসিল অনেক বেশি। এটা কমানো যায় কিনা।
তিনি বলেন, আমরা এখনো হাসিল কমাতে পারিনি। আগামীবার থেকে হাসিল যাতে ৩ শতাংশের বেশি না হয় সে ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার দুই দিকে ২০টি হাটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসব হাটে যাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকঠাক থাকে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা পশুর হাটে চিকিৎসকের ব্যবস্থা করেছি। কোনো অসুস্থ গরু যেন বিক্রি হতে না পারে। এছাড়া অনেকেই গরুর হাটে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাদের জন্যও চিকিৎসক থাকবে।
তিনি বলেন, গরু কোনো অবস্থায় রাস্তায় নামানো যাবে না। প্রতিটি হাটের দায়িত্বশীলরা এটার বন্দোবস্ত করবে। প্রতিটি হাটে আইনশৃঙ্খলার জন্য পর্যাপ্ত আনসার সদস্য থাকবে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় তিনদিন কোরবানি চলবে। প্রথম দিন প্রায় ৯০ শতাংশ গরু কোরবানি করা হয়ে যায়। এরপর কিছু কিছু করে কোরবানি হয়। ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যেন অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রশাসকরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন ১২ ঘণ্টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এজন্য সকল প্রস্তুতিও তারা গ্রহণ করেছে। এজন্য আমি প্রশাসকদের ধন্যবাদ জানাই।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থা যাতে ভালো থাকে সেজন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আরেকটি হলো ঈদের ছুটিতে লোকজন যখন চলে যায়, তখন ঢাকা নগরীর নিরাপত্তার একটা ব্যবস্থা প্রয়োজন হয়, এজন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সজাগ থাকবে। আমরা প্রশাসকদেরও অনুরোধ করেছি তারা যেন জনগণকে সতর্ক করে দেয়, বাড়ি গেলেও যেন পর্যাপ্তভাবে নিরাপত্তা গ্রহণ করে রেখে যায়, তারা যেন ইলেকট্রিসিটি ঠিকঠাক মতো বন্ধ করে যায়। তা না হলে অনেক সময় আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে। এ ব্যাপারে সবার সচেতন থাকতে হবে।