সিভাসুতে ১২ দিনের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ প্রশিক্ষণ সমাপ্ত

বাসস
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১৭:৩০
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ২৬ মে, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ‘খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সংরক্ষণ’ বিষয়ক ১২ দিনব্যাপী ‘অন-দ্য-জব’ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ হয়েছে।

সিভাসুর ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘প্রোগ্রাম অন অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার-ডিএএম অঙ্গ)’ প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

১২ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২৫ জন তরুণ ও নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. কামাল এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন হোসাইন।

ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. কাউছার-উল-আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং মাঠ পর্যায়ে জ্ঞান সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো: কাউছার-উল-আলম প্রশিক্ষণার্থীদের অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন।

১২ দিনব্যাপী ‘অন-দ্য-জব’ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এর ফলে তারা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন, যা স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে। 

একইসাথে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রস্তুত ও সংরক্ষণের দক্ষতা অর্জন করায় এটি খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 

এছাড়া, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের অপচয় হ্রাস পাবে এবং বাজারজাতকরণ সহজ হবে, যা টেকসই কৃষি বিপণন ব্যবস্থার পথ সুগম করবে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পাশাপাশি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক অনেকের মনে জ্বালা ধরিয়েছে : রিজভী
জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের দাবি, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন : প্রেস উইং
মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত একই পরিবারের ৪ জন
নড়াইলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
একাত্তর ও জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে : ওয়ার্কার্স পার্টি
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ দক্ষিণখানে
৯৭২২ দিনের অপেক্ষার অবসান দক্ষিণ আফ্রিকার
সাহিত্যিক আব্দুল মোমেনের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক
আগামীকাল উদীচীর বর্ষা উৎসব
সোমবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
১০