কাপ্তাই হ্রদে নতুন প্রজাতির আইড় মাছের সন্ধান

বাসস
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১৪:৪৫ আপডেট: : ২৭ মে ২০২৫, ১৫:২০
কাপ্তাই হ্রদে নতুন প্রজাতির আইড় মাছের সন্ধান। ছবি: বাসস

রাঙ্গামাটি, ২৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : জেলার কাপ্তাই হ্রদে গবেষণা করে প্রথমবারের মতো নতুন প্রজাতির আইড় মাছের সন্ধান পেয়েছে। 

এ কথা বাসসকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট  ও নদী উপকেন্দ্র রাঙ্গামাটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক হায়দার।

তিনি জানান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদী উপকেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা আইড় মাছের বাহ্যিক গঠন এবং অন্যান্য দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় ‘স্পেরেটা  অর ও ‘স্পেরেটা সিনঘলা’ হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের নতুন আইড় মাছের সন্ধান পান কাপ্তাই হ্রদ হতে।

বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন এ প্রজাটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘স্পেরেটা অরেলা’। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) ২০১৫ এর তথ্য মতে ‘স্পেরেটা  অর  ও স্পেরেটা  সিনঘলা’  প্রজাতি দু’টি বিপন্ন প্রজাতির মূল্যবান মাছ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলেও ‘স্পেরেটা অরেলা’ প্রজাতির মাছটি আইইউসিএন’র অন্তর্ভুক্ত নয়।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট ও নদী উপকেন্দ্রের রাঙ্গামাটির বিজ্ঞানীরা আইড় মাছের বাহ্যিক গঠন ও অন্যান্য দিক পরিক্ষা-নিরীক্ষার সময় ‘স্পেরেটা  অর  ও ‘স্পেরেটা  সিনঘলা’ হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের নতুন আইড় মাছের সন্ধান পান। পরে কৌলিতাত্ত্বিক গবেষণায় প্রাপ্ত নমুনায় ‘স্পেরেটা অরেলা’ নামক আইড়  মাছের রেফারেন্স জিনোমের সঙ্গে শতভাগ মিল পাওয়া যায়। মাছটির দেহের তুলনায় তুলনামূলক দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা, ম্যাক্সিলারি বারবেল, চোয়াল, এডিপোজ ফিন, অক্সিপিটাল প্রসেস এবং এপিনিউরাল শিল্ড ইত্যাদির গঠন বাকি দুই প্রজাতির আইড় মাছ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি তুলনামূলক ছোট প্রজাতির আইড়, ওজন ১-১.৫ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাছটির পৃষ্ঠদেশ ধূসর, পেটের দিক সাদাটে এবং দেহের দুই পাশ রুপালি বর্ণের।

মাছটির দেহ লম্বা ও সরু, চোয়াল থেকে পৃষ্ঠ পাখনার উৎপত্তিস্থল পর্যন্ত সমানভাবে ঢালু, এডিপোজ ফিন খাটো এবং দৈর্ঘ্য পৃষ্ঠীয় পাখনার প্রায় সমান, চোখের সম্মুখ অংশ অপেক্ষাকৃত লম্বা, অক্সিপিটাল স্পাইন দীর্ঘ এবং এপিনিউরাল শিল্ড সরু।

এর মাক্সিলারী বারবেল এর মতো প্রায় পুচ্ছ পাখনা পর্যন্ত বিস্তৃত এবং চোয়াল ‘স্পেরেটা সিনঘলা’ এর মতো স্পষ্টভাবে ছাঁটা।

এই গবেষক দলে ছিলেন, বিএফআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আজহার আলী, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রবিউল আউয়াল হোসেন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক হায়দার ও বি. এম. শাহিনুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. খালেদ রহমান, রাবিনা আক্তার লিমা, মো. ইমদাদুল হক এবং মো. লিপন মিয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ আইজিপির
ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে নিহত সৈনিকদের সমাধিতে কুটনৈতিকদের শ্রদ্ধাঞ্জলি
তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সাক্ষাৎ : চব্বিশের শহীদ পরিবার বিএনপি’র সঙ্গে কাজ করবে
ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তির অনলাইন আবেদনের সময় বাড়ল
অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজপথ আর উত্তপ্ত হতে দেব না : সালাহউদ্দিন আহমেদ
মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে খেলাধুলা : হাসনাত আব্দুল্লাহ
৭ নভেম্বর শুরু হওয়া দলকে সংস্কার শেখাতে হবে না : মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল
রাজশাহীতে আইডিইবি’র ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
আল্লামা ইকবালের ১৪৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাবি ও প্রেসক্লাবে সেমিনার
সাংবাদিকদের দলবাজি ত্যাগ করে পেশাদারিত্ব সমুন্নত রাখতে হবে : এম আবদুল্লাহ
১০