আপিলে খালাস পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

বাসস
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১৭:৪৬
প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২৭ মে, ২০২৫ (বাসস):  সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা মামলায় আপিলে খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। আজ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজ এ রায় ঘোষণা করেন বলে বাসসকে নিশ্চিত করেছেন শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ।

গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। আদালতে আত্মসমর্পণ পূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে এক বছরের জন্য আইন,বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে এ সাজা স্থগিতের আদেশ দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লা।

এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে শফিক রেহমান আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে মামলার আপিল দায়েরের জন্য নকল ও তার বিরুদ্ধে দেওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেন।

এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেন। গত ২৭ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ ২৭ মে দিন ধার্য করেন আদালত।

২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন । রায় ঘোষণার সময় তারা পলাতক থাকায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

আদালত রায়ে অপহরণচেষ্টার দায়ে আসামিদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি হত্যার ষড়যন্ত্র করায় আসামিদের দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে ষড়যন্ত্র করেন। তারা আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা ষড়যন্ত্র করেন।

এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ব্রিটেনের শীর্ষ আইনজীবী গোয়েন্দা মামলা বাতিলের জন্য সরকারকে দুষলেন
শেরপুরে তিনলাখ ৮৩ হাজার শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেয়া হবে
গোপালগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক কর্মশালা
চট্টগ্রামে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত
নির্বাচনের তথ্য জানতে ইসি’র ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ শেয়ার করার অনুরোধ
শহীদ আবরার ফাহাদ ও আবু সাঈদ একই চেতনার মানুষ ছিলেন : বেরোবি ভিসি
৩১ অক্টোবর শুরু হচ্ছে ফেডারেশন কাপ
ভোলা উপকূলে মহাজনের দাদন শোধের চাপে ‘মা’ ইলিশ ধরায় দণ্ডিত হচ্ছেন জেলেরা 
রংপুরে সাড়ে ৮ লাখ শিশুকে দেওয়া হবে টাইফয়েড টিকা
খুলনার দাকোপে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত
১০