প্রতিবেদক: ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন
নাটোর, ২০ জুন ২০২৫ (বাসস): পবিত্র ঈদুল আজহার পরে জেলার আড়তগুলোতে গবাদিপশুর চামড়া কেনা-বেচা জমে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন জেলার থেকে চামড়া ব্যবসায়ীরা নাটোরের আড়তগুলোতে নিজেদের সুবিধামতো কেনাবেচা করছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের ঈদ মৌসুমে একশ’ আড়তে অন্তত ৮০ কোটি টাকার চামড়া কেনাবেচা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চকবৈদ্যনাথ চামড়া আড়তে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ব্যবসায়ীরা কেনাবেচা শুরু করেছেন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ চামড়া আড়তে প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কেনাবেচা চলছে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ৩০ থেকে ৩৫টি জেলার ব্যবসায়ীরা চামড়া কেনাবেচায় অংশগ্রহন করছেন। ঢাকা থেকে ট্যানারির প্রতিনিধিরাও আসতে শুরু করেছেন। ব্যবসায়ী ছাড়াও একশ’ আড়তে অন্তত তিন হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। চামড়া কেনাবেচায় পরিবহন ব্যবসায়েও গতি এসেছে। সার্বিকভাবে জমজমাট চামড়ার আড়ত।
আড়তের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে সার্বক্ষণিক পুলিশের টিম নিয়োজিত আছে। এবার চোরাচালানের মাধ্যমে দেশের বাইরে চামড়া পাচারের কোন সম্ভাবনা নেই জানিয়ে চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক হালিম সিদ্দিকী জানান, আড়তে বিদেশী কোন ব্যবসায়ীর উপস্থিতি নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, বড় গরুর চামড়া প্রতিটি ৯০০ থেকে একহাজার ২০০ টাকা, মাঝারি গরুর চামড়া ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং ছোট গরুর চামড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। ছয় ফুট থেকে বেশী দৈর্ঘ্যের খাসীর চামড়া ১২০ টাকা, পাঁচ ফুট পর্যন্ত খাসীর চামড়া ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং তিন থেকে চার ফুট খাসীর চামড়া ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে কেনাবেচা চলছে।
আড়তদার নুরুল ইসলাম নুরু জানান, ঈদ মৌসুমের চামড়া কেনাবেচা শুরু হয়েছে। তবে ট্যানারি প্রতিনিধিরা ব্যাপকভাবে আসলে আড়ত আরও জমজমাট হবে।
নাটোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি সায়দার খান জানান, এ পর্যন্ত প্রায় একলাখ গরুর চামড়া এবং সাড়ে তিনলাখ খাসীর চামড়া কেনাবেচা হয়েছে। দেড়মাস জুড়ে ঈদ মৌসুমের ব্যবসায় অন্তত সাতলাখ গরুর চামড়া এবং ২৫ লাখ খাসির চামড়া কেনাবেচা হবে। ঈদ মৌসুমের চামড়া কেনাবেচায় ক্রেতা-বিক্রেতা ও আড়তদার সকল পক্ষই লাভবান হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।