
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর, (বাসস) : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমদ বলেছেন, বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতা সুস্পষ্ট প্রমাণ ও বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
পরিবেশ সচিব জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট আউটলুক (জিইও) মূল্যায়নসহ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্ল্যাটফর্মের প্রশংসা করেন, যা নীতি নির্ধারণে অপরিহার্য তথ্য সরবরাহ করে আসছে। তিনি জোর দিয়ে আরো বলেন, ইউএনইএ-৭-এর সিদ্ধান্তে বৈজ্ঞানিক তথ্য সরাসরি প্রতিফলিত হওয়া জরুরি।
আজ কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ পরিবেশ পরিষদের সপ্তম অধিবেশনের সমাপনী বৈঠকে বাংলাদেশের বিবৃতি প্রদানকালে পরিবেশ সচিব এ কথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিশ্ব এখন এমন এক সময়ের মুখোমুখি, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যে ধস এবং বিষাক্ত দূষণের বিস্তার এই তিনটি পরিবেশগত সংকট আর কোনো দূরবর্তী সতর্কবার্তা নয়; এগুলো নিতান্তই বাস্তব এবং বিশ্ববাসীর প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা।’
জলবায়ু ও পরিবেশ শাসনে কাজ করা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সংস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে সচিব আন্তঃসরকারি জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেল (আইপিসিসি) এবং আন্তঃসরকারি বিজ্ঞান-নীতি প্ল্যাটফর্ম অন বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম সার্ভিসেস (আইপিবিইএস)-এর প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি রাসায়নিক, বর্জ্য ও দূষণ বিষয়ে নবগঠিত আন্তঃসরকারি বিজ্ঞান-নীতি প্যানেলের সম্প্রসারিত ভূমিকাকে স্বাগত জানান এবং বলেন যে বিপজ্জনক পদার্থ নিয়ে সংগ্রামরত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে সমাপনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।