দিনাজপুর, ১৯ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) এ প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী সামার সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হাবিপ্রবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ এবং আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার যৌথভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা ভবনে দুই দিনব্যাপী এ সামার সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে। দেশের ৬০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। দেশের সম্ভাবনাময় আইটি খাতকে ঘিরে এমন বড় পরিসরে আলোচনা ও অংশগ্রহণের সুযোগ হাবিপ্রবিতে এটাই প্রথম।
সিম্পোজিয়ামের সমাপনী অনুষ্ঠানে আজ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো শামসুল আরেফিন এবং আইইইই সিএস বিডিসির সভাপতি অধ্যাপক ড. কে. এম. আজহারুল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএসই অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন। টাইটেল স্পন্সর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকনেট এর প্রতিনিধি।
সমাপনী অধিবেশনে আলোচকরা দেশীয় মেধাবীদের দক্ষ করে তুলতে কারিকুলাম হালনাগাদ, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সংযোজন এবং বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা বলেন, হাবিপ্রবিতে এ ধরনের সিম্পোজিয়াম ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন এবারই প্রথম। ২০২৫ সালে প্রত্যেক অনুষদ অন্তত একটি করে কনফারেন্সের আয়োজন করবে। এর মাধ্যমে হাবিপ্রবিকে দেশ ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠতে সক্ষম হবেন। এসব সিম্পোজিয়াম থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের আইটি জগৎ সম্পর্কে অবগত হয়ে নিজেদের কর্মজীবনে সহায়ক হিসেবে কাজে লাগাতে সক্ষম হবেন। এই জ্ঞান চর্চার মাধ্যমেই আগামী দিনে দেশের আইটি বিশেষজ্ঞরা উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে কাজ করে দেশের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
এই আয়োজনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্বব্যাপী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সক্ষমতা গড়ে তুলতে হলে তথ্য প্রযুক্তি খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে। সে লক্ষ্যেই এই আয়োজন করা হয়েছে।
সিম্পোজিয়ামের অন্যতম বড় আকর্ষণ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ। তারা প্রযুক্তি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং হাতে-কলমে প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা নেন।
সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, হাবিপ্রবিতে এই প্রথম এমন বৃহৎ আয়োজন হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে আমরা আনন্দিত। আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। এই সম্মেলনের অর্জিত জ্ঞান ভবিষ্যতে আমাদের কাজে আসবে।