ঢাকা, ২১ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর সর্বসাধারণের প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে উদ্ধার তৎপরতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
আজ সোমবার বিকাল চারটা থেকে পরবর্তী আড়াই ঘণ্টা মাইলস্টোন স্কুলে সরেজমিন উপস্থিত থেকে উপদেষ্টা আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার তৎপরতা প্রত্যক্ষ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, তিনি সেখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন আর মাত্র বিশ মিনিট পরে যদি ঘটনা ঘটতো তবে হয়ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো অনেক কম হতে পারতো। কারণ আজ দুপুর ১টা ৬ মিনিটের দিকে যখন বিমানটি আছড়ে পড়ে তখন ওই সময়টাতে শিক্ষার্থীরা মাত্র ক্লাস ছুটি শেষে স্কুল থেকে বের হচ্ছিল। আর এমন সময়ই ঘটলো এই দুর্ঘটনা।
উপদেষ্টা জানান, তিনি সিএমএইচ এ আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আর ৮ জনের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
সেখানে মাইলস্টোন স্কুলের একজন স্কুল শিক্ষকও আর্তনাদ করছিলেন। শিক্ষকের একমাত্র মেয়ে ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল, সে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। শিক্ষকের আহাজারিতে সিএমএইচ এর আকাশ বাতাস ভারী হয়ে আসছিল। শিক্ষা উপদেষ্টা নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি পরিবারকে শোক সইবার তৌফিক দেওয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাকের দরবারে ফরিয়াদ জানান।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, তিনি যখন উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করেন, প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে তখন স্কুলটির ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছিল না। পরে অনেক কষ্টে তিনি স্কুলের ভেতরে গিয়ে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে (তাৎক্ষণিক যাদেরকে পেয়েছেন) কথা বলেন।
তবে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ, আনসার ফায়ার সার্ভিসসহ, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদেরকে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।