ঢাকা ২৬ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন,জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের রক্তাক্ত গল্প সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের কাজ হবে সরকারে থাকার সময়ই ২০২৪ সালে যে, গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে সেসব কালেক্টিভ ও ন্যারেটিভ ওয়েতে কাজ করে তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গকারী চিত্র সাংবাদিক শহীদ তাহির জামান প্রিয়'র উপর নির্মিত চলচ্চিত্র -আননোন-৩০- প্রামাণ্য প্রিমিয়ার শো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চিত্র তুলে ধরতে সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনা শুনে ও দেখে আমি ট্রমাটাইজ হয়ে যাচ্ছি। তাহলে যারা তাদের সন্তানসহ নিকটজনকে হারিয়েছেন তাদের অবস্থাটা কি তা আমি এই জায়গা থেকে বুঝতে পারছি।
তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কি ঘটেছিল সেটা একটা ফ্যাক্ট। কিন্তু সেই জায়গাটাকেই দেশের জনসাধারণের জন্য তুলে আনা জরুরী।
প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক শহিদুল আলম, তাহির জামান প্রিয়'র মা শামসি আরা জামান, ইতিহাসবিদ ও সংগঠক আমিরুল রাজীব, চলচ্চিত্রটির নির্মাতা রজত তন্ময় প্রমুখ।
শহিদুল আলম বলেন, শিক্ষক হয়ে কখনো তাহের জামান প্রিয়র জন্য আমাকে মঞ্চে এসে কথা বলতে হবে এমনটা আমি ভাবিনি। প্রিয় একজন সম্ভাবনাময় তরুণ ছিলেন।
তিনি বেঁচে থাকলে তার কাছ থেকে বাংলাদেশ সৃজনশীল কিছু কাজ পেতো।
শামসি আরা জামান বলেন, প্রিয় চাইত আমি যেন সমাজে উজ্জ্বল মুখ হিসেবে পরিচিত হতে পারি।কিন্তু আমি কখনো চাইনি প্রিয় চলে গিয়ে আমাকে পরিচিত করে দিয়ে যাবে।আমি এখন সবার কাছে পরিচিত মুখ।
এমনটা হতে চাইনি আমি।
তিনি আরও বলেন, মারা যাওয়ার আগে সে আমার কাছে দুই মাস ছিল ,সেই দুই মাস আমার জন্য চিরস্থায়ী হয়ে রইল।